রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও রাতযাপনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সাথে বাংলাদেশের গরু ব্যবাসীদের সখ্য থাকায় তাদের এ অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এমনই অভিযোগ করেন বিজিবি সদস্যরা। তাদের মতে, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা মূলত গরু আনার ‘কামলা’ হিসেবে আসে। তারা এখানে রাত যাপন করে এবং বাংলাদেশী নাগরিকদের মতই চলাফেরা করে। তাদের ভাষা ‘বাংলা’ হওয়ায় বিজিবি সদস্যরা তাদের চিনতে পারে না। ফলে দিনের পর দিন তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে এবং থাকছে।
রৌমারী উপজেলার সাহেবের আলগা সীমান্তের গরু ব্যবাসায়ী কাবিল উদ্দিন, সমশের আলী, আবু বক্কর জানান, ভারতীয় গরু ব্যবসা এখন জুয়া খেলার মতো। গরু কিনতে প্রথমে টাকা দিতে হয় ভারতীয় গরু ব্যবাসায়ীদের। ওরা গরু কিনে কামলা দিয়ে গরু পাঠায় বাংলাদেশে। কামলা ও তাদের থাকা খাওয়া খরচ, কাস্টমস, বিট সব মেটাতে প্রতি জোড়া গরুতে খরচ হয় প্রায় ৩ হাজার টাকা। ওই গরু চট্রগ্রাম বা ঢাকার ব্যাপারিরা যে দরে ক্রয় করে তাতে কোন জোড়ায় লাভ হয় আবার কোন জোড়ায় লাভ হয় না।
একই কথা বললেন দাঁতভাঙ্গা এলাকার গরু ব্যবসায়ীরাও। তারা বলেন, ভারতীয় কামলা এখানে আসতে না দিলে গরু ব্যবাসাই বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি ভারতীয়রা টাকাও দেবে না গরুও দেবে না। উপজেলার গোটা সীমান্ত এলাকায় অন্তত শতাধিক মানুষ আছে যারা ভারতীয় গরু ব্যবাসায়ীদের প্রতারণার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা তারা গরু দেয়ার কথা বলে মেরে দিয়েছে। তাদের দেশে পার্সপোর্ট ছাড়া যেতে দেয় না। অথচ আমাদের দেশে আসতে তাদের কোন কাগজপত্র লাগেনা।
এ ব্যাপারে বিজিবি’র জামালপুর-৩৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) রফিকুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনতে জওয়ানদের নির্দেশ দিয়েছি। #