মো: রাকিব হাওলাদার বরিশাল থেকে ॥
সরকারি নিয়ম নীতি ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই বরিশাল নগরীতে অবাধে চলছে অবৈধ কোচিং সেন্টার। একটি ছোট্ট কক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন কোমলমতি শিশুদের নিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা নিচ্ছে লাইসিয়াম কোচিং সেন্টার ও দি ব্রাইট একাডেমি নামের দুই কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা।

স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় দিন রাত চলছে তাদের এ অবৈধ কোচিং বাণিজ্য। করোনা মহামারীতে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় শিক্ষকরা অবৈধ কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই দুই প্রতিষ্ঠানের নামে।

জানা যায়, নগরীর বগুড়া রোডে দীর্ঘদিন থেকে বাসা ভাড়া নিয়ে লাইসিয়াম কোচিং সেন্টার ও দি ব্রাইট একাডেমি এর পরিচালনা করে আসছেন আকাশ সরদার ও সুমন রায় নামে দুই ব্যক্তি। লাইসিয়াম কোচিং সেন্টারের পরিচালক আকাশ সরদার বিকাল ৪ টা ৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত তার কোচিং সেন্টারে ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়।

অন্যদিকে দি ব্রাইট একাডেমিতে ‘চ্যালেঞ্জের সাথে পিএসসি জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা’ দিয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং করান কর্তৃপক্ষ। দি ব্রাইট একাডেমির পরিচালক সুমন রায় সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত ক্লাস নেয়। লাইসিয়াম কোচিং সেন্টার ও দি ব্রাইট একাডেমির পরিচালকদের সহযোগিতা করে এবং নিয়মিত ক্লাস নেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাইসিয়াম কোচিং সেন্টারের এক শ্রেণি কক্ষে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে গাদাগাদি করে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা। একই দিনে দি ব্রাইট একাডেমিতে গিয়ে দেখা যায় ছোট ছোট ৩ টি কক্ষে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জন শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা।

মহামারীর মধ্যেও কেন কোচিং খোলা রেখেছেন, জানতে চাইলে লাইসিয়াম কোচিং সেন্টারের পরিচালক আকাশ সরদার দাম্ভিকতার সাথে বলেন, ‘আমার ইচ্ছে হইছে তাই আমি কোচিং সেন্টার খোলা রাখছি। দি ব্রাইট একাডেমির পরিচালক সুমন রায় বলেন, ‘কোচিং শুধু আমরা একাই চালাই না, বরিশাল নগরীরে আরো অনেক কোচিং সেন্টার চলছে। ’শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাস নিচ্ছি দাবি করে তিনি বলেন, ‘সবাই তো চালায় তাহলে আমি চালালে সমস্যা কোথায়?’

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো: আনোয়ার হোসেন সময়ের বার্তাকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা আসার আগে কোনো কোচিং সেন্টার কেউ চালাতে পারবে না। আমাদের একটা কমিটি আছে। আমি অবশ্যই বিষয়টি আমাদের কমিটিকে জানাবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: সোহেল মারুফ বলেন, ‘আমরা তথ্য সাপেক্ষে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *