লালপুর,নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের টিটিয়া গ্রামের প্রিয়াখাতুন(১১) নামের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষন হয়েছেন। সে ঐ গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মন্ডলের মেয়ে। প্রতিবেশী মৃত নরেন্দ্রনাথ সিংয়েরলম্পট পুত্র দীপংকর রঞ্জন সিং গনেশের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ করেছেন প্রতিবন্ধী শিশু প্রিয়া খাতুন নিজেই। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও অজ্ঞাত কারনে ধর্ষক গনেশ ধরাছোয়ার বাইরে আছেন। এ দিকে ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ ধর্ষিতার পিতামাতা সহ আত্মীয়স্বজনের।ধর্ষিতার বাড়ির আশেপাশের সমস্ত প্রতিবেশীরা ধর্ষকের আত্মীস্বজন হওয়ায় তাদের টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন ধর্ষিতার পরিবার। এদিকে রমজান মাসে রাতের বেলা রান্না করাসহ বিভিন্ন কাজে পানিহীনতায় ভূগছেন অসহায় পরিবারটি।ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী শিশুটি জানায়, তার মা আমরিমা বেগম ঈশ্বরদীতে এক আটার মিলে কাজ করেন এবং তার পালক পিতা আমির হোসেন দিনমজুরের কাজ করেন। তাই কাজ করতে যাবার সময় তাকে প্রতিবেশী গনেশের বাড়িতে রেখে যেতেন। বাবা মা বাড়িতে না ফেরা পর্যন্ত ঐ বাড়িতেই সে গনেশের স্ত্রী অঞ্জলী রানীর কাছে থাকতো। সেই সুযোগে গণেশ তাকে বিভিন্ন খাবার দাবারের প্রলোভন দেখিয়ে এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করতো। গনেশের স্ত্রীকে অভিযোগ দিলেও তিনি কর্নপাত করেননি। প্রতিবন্ধী শিশুটির বাবা মা বলেন, তারা দুজনেই দিনমজুরের কাজ করেন। তাই প্রতিবেশী গনেশের বাড়িতে তাদের প্রতিবন্ধী শিশুকে রেখে যেতেন। যখন বাড়ি ফিরতেন তখন এসে তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতেন। কিন্তু হঠাৎ তারা প্রতিবন্ধী প্রিয়া খাতুনের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করেন। লালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রতিবন্ধী প্রিয়া খাতুন প্রেগনেট হয়েছেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। এক পর্যায়ে তারা প্রিয়া খাতুনকে জিজ্ঞাসা করলে প্রতিবেশী দীপংকর রঞ্জন সিং গনেশের নাম বলেন। এ বিষয়ে ধর্ষক পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি তবে তার স্ত্রী গনেশের স্ত্রী অঞ্জলী রানী সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামী একটি বেসরকারী এনজিওতে চাকুরী করেন। সারাদিন বাহিরে থাকেন। তিনি এমন কাজ করতেই পারেনা। তারা আমার কাছে একটি গরু বর্গা চেয়েছিলো,একটি বাইসাইকেল আছে যেটি এখানে ওখানে যাওয়ার সময় চাইতো। তারা অপরের জমিতে থাকে বলে সেগুলি দেওয়া হয়নি। আর সে সব কারনেই আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা করেছেন। আমাদের অর্থসম্পদের মোহে পড়ে তারা আমাদের হয়রানী করছেন। দুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আনোয়ার হোসেন জানান, গত ১৮.০৫.২০১৭ ইং তারিখে লালপুর হাসপাতালে শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটির একটি মৃত কন্যা শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। এ বিষয়ে মামলা হলেও আসামী পলাতক থাকায় আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে এলাকাবসী অভিযোগ কওে বলেন, ধর্ষনের মামলা হওয়ার পর থেকেই প্রতিবন্ধী শিশুর পরিবারের উপর নানারকম হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। তারা আদিবাসী বলে এ মামলায় কিছুই হবেনা বলে নানারকম ভয় দেখাচ্ছে পরিবারটিকে। আদিবাসী পল্লীতে একটিমাত্র ভূমিহীন দরিদ্র পরিবার হওয়ায় প্রায় একঘওে হয়ে পড়েছেন। তাদের নিজস্ব টিউবওয়েল না থাকাই পানিহীনতায় ভূগছেন। ধর্ষক আদিবাসী হওয়ায় কেউ কোন প্রতিবাদ করলেও বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে পরিবারটিকে।