লালমনিরহাট প্রতিনিধি \ লালমনিরহাটে সাংবাদিক পরিবারের বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলার ৭দিনেও থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি কোন আসামীকে। উপরোন্ত মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামীরা বাদী ও স্বাক্ষীদের হুমকি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। জানা গেছে, লালমনিরহাট শহরের বানভাসা এলাকার সাংবাদিক বদিয়ার রহমান ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম এর পরিবারের উপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালায় একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী । হামলার ঘটনায় সাংবাদিক বদিয়ার রহমান তার স্ত্রী শিঊলী পারভীন, ছেলে সোহানুর রহমান সোহান (শিশির), তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলামসহ ৫ জন গুরতর আহত হয়। আহতদের লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে তার মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সাংবাদিক বদিয়ার রহমানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপর আহতদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম এর মাথায় ৯টি শেলাই পড়েছে। আহত শিউলী পারভীনকে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধরক মারপিঠ করে । এব্যাপারে সাংবাদিকের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বানভাসার নুরুজ্জ্মানের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহাগ (৩৮) ও আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৬)সহ ১১ জনসহ আরো অজ্ঞাত ৭ জনকে উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । যার মামলা নং- ৮৮ তারিখ ৩১/৭ /২০২০ইং। মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই আমদানী ও রপ্তানী কারক মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডিং এর মালিক ও লালমানরহাট গোশালা বাজারের পিয়াজের আড়ৎদার সাংবাদিক বদিয়ার রহমানের ছোট ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার সময় পিয়াজের আড়ৎ বন্ধ করে কালেকশনের ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ক্যাশ নিয়ে বাড়ী ফিরছিল। এসময় বাসার সামনে পৌছলে পাকা রাস্তার উপর চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহাগ (৩৮) ও আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৬) এর নেত্বত্বে সাংবাদিক বদিয়ার রহমানের ছেলে ও সাইফুল ইসলামের ভাতিজা সোহানুর রহমান শিশিরকে এলোপাতারি ভাবে মাইর ডাং শুরু করে। তারা আসামীদের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করলে ২নং আসামী অপর আসামীদেরকে হুকুম দিয়ে বলে ব্যাটাকে চিরতরে শেষ করে দাও। তার হুকুম পাওয়া মাত্র অপর আসামীরা লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাতারী ভাবে মাইর ডাং করতে থাকে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাইফুল ইসলামের মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে সজোরে কোপাতে থাকে। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ২ নং আসামী সোহাগ ১ ও ৩ নং আসামীর সহযোগিতায় পায়জামার পকেটে থাকা ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে সাংবাদিক বদিয়ার রহমান রক্ষার চেষ্টা করলে তাকেও লাঠি সোটা দিয়ে অপর আসামীরা এলোপাথারী ভাবে মারডাং করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। তাদের আত্বচিৎকারে সাংবাদিক বদিয়ার রহমানের স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতারী ভাবে মাইর ডাং করতে থাকে। উপস্থিত লোকজন তাদেরকে বাড়ীর ভিতরে নিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা টিনসেট বাড়ীর বেড়া ভাংচুর করে পুনরায় হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সাংবাদিক বদিয়ার রহমান গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এব্যাপারে সাংবাদিক বদিয়ারের ছোট ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা দায়ের করার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ এজাহার ভুক্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ আসাদ মিয়া জানান, আসামীদের গ্রেফতারের জোড় প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সাংবাদিক ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাশী হামলার ঘটনায় লালমনিরহাটে কর্তব্যরত সাংবাদিকবৃন্দ তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।