mail-google

এইচ,এম ইমরান, ঝিনাইদহ থেকে:
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শীতলীপাড়া গ্রামে যৌতুকের টাকা না পেয়ে তাছলিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধুকে অমানসিক নির্যাতন করেছে স্বামী মিন্টু হোসেন ও তার পরিবার। সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়িয়ে ও বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে তাছলিমাকে। বর্তমানে সে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তাছলিমার ভাই সেলিম রেজা জানান, ৫ বছর আগে কোটচাঁদপুর উপজেলার ওয়াড়িয়া লক্ষীপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে মিন্টু হোসেনের সাথে বিয়ে হয় তাছলিমার। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুক লোভী স্বামী মিন্টু হোসেন যৌতুকের জন্য তাছলিমাকে মারপিট করতে থাকে। বোনের সুখের কথা চিন্তা করে তাছলিমার পরিবার কয়েক দফায় বেশ কিছু টাকাও দিয়েছে পাষন্ড স্বামী মিন্টু হোসেনকে। কিন্তু যৌতুক লোভী মিন্টু হোসেন থেমে থাকেনি।
সর্বশেষ ১ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর কোটচাঁদপুর উপজেলার ওয়াড়িয়া লক্ষীপুর গ্রামের স্বামীর বাড়ী থেকে ৩ বছরের শিশু কন্যা মেঘলাকে কেড়ে রেখে বাড়ী থেকে বের করে দেয় স্বামী ও তার পরিবার। তাছলিমা ওই দিন থেকেই বাবার বাড়ী শৈলকুপার শীতলীপাড়ায় অবস্থান করে।
এর পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বামী মিন্টু হোসেন, শ্বাশুড়ী আবেদা খাতুন ও দেবর রনি হোসেন ও আরিফ হোসেন শীতলীপাড়া গ্রামের আসে। রাত ৮ টার দিকে যৌতুকের জন্য আবারো তাছলিমাকে ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক মারপিট করে এবং সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়িয়ে দিয়ে মাইক্রো যোগে পালিয়ে যায় তারা। পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যৌতুক লোভী স্বামী মিন্টু হোসেন, শ্বাশুড়ী আবেদা খাতুন ও দেবর রনি হোসেন ও আরিফ হোসেনকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তাছলিমা ও তার স্বজনেরা। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় একটি মামলা করবেন বলে জানিয়েছে ভাই সেলিম রেজা।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কেউ এখনো থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *