শফিউল আলম শফি,কুড়িগ্রাম ঃ
দেশে জনপ্রিয় সব্যসাচী লেখক কবি সৈয়দ শামসুল হককে সমাহিত করতে তার জন্ম ভুমি কুড়িগ্রামে জোড় প্রস্তুতি চলছে। কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ চত্বরে কলেজ গেটের দক্ষিনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের কলেজ মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। এজন্য গতরাত থেকে জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে কুড়িগ্রাম পৌরসভা কাজ করছে। ঢাকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে তার মরদেহ হেলিকপ্টার যোগে কুড়িগ্রাম কলেজ মাঠে আনা হবে। পরে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবে স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ। বিকেল ৪টায় কলেজ মাঠেই তার জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
এ কৃতি সন্তানের মৃত্যুর খবরে তার জন্মভুমি কুড়িগ্রামে সর্বত্রই শোকাবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে । বিশেষ করে তার পরিবারসহ জেলার সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কবির মৃত্যুতে কুড়িগ্রাম শহরের পুরাতন থানা পাড়ায় তার পৈত্রিক বাড়ীতে শোকাবহ অবস্থা বিরাজ করছে।
গুনি এ লেখকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর। ৫ ভাই ৩ বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সৈয়দ শামসুল হক। ১৯২৮ সালে তৎকালীন এমএলএ কাজী এমদাদুল হকের আমন্ত্রনে তার বাবা ডাঃ সৈয়দ সিদ্দিক হোসাইন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকে কুড়িগ্রামে এসে এখানকার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়াসহ বসবাস শুরু করেন। সৈয়দ শামসুল হক নবম শ্রেনী পর্যন্ত কুড়িগ্রাম রিভারভিউ হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষে ঢাকায় চলে যান।
সৈয়দ শামসুল হকের ছোট ভাই এডভোকেট সৈয়দ আজিজুল হক জানান, আমার বড় ভাই সৈয়দ শামসুল হকের ইচ্ছা মতে তাকে কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ চত্বরে দাফন করা হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন জানান, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক সমাহিত করতে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।