লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক সংস্কার প্রকল্প ( আরইআরএমপি) এর শ্রমিক দিয়ে ঠিকাদারি রাস্তার কাজ করেছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান। ঠিকাদারের সাথে যোগ সাজসে সরকারি শ্রমিকে ঠিকাদারের রাস্তার দুই পাশে মাটি ফেলে টাকা বাঁচিয়ে ভাগ – বাটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।

জানাগেছে, সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ভাড়াল্দা বাজার হতে দুরাকুটি পর্যন্ত দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ কিলোমিটার কংক্রিট ব্লক রাস্তার কাজ করেন স্থানীয় স্যামসাং বাবু নামে এক ঠিকাদার। রাস্তার পাশে মাটি না ফেলেই ৫মাস আগে ওই রাস্তার কাজ সম্পন্ন দেখান ঠিকাদার। তবে রাস্তার দুই পাশে প্রায় ৩লাখ টাকা মাটি ফেলার বরাদ্দ ছিলো। পরে ঠিকাদার ও প্রকৌশল যোগ সাজসে দারিদ্র্য বিমোচনে পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক সংস্কার প্রকল্প (আরইআরএমপি) এর সরকারি শ্রমিক দিয়ে টানা ৫দিন ঠিকাদারের ওই রাস্তায় মাটি ফেলে সমুদয় টাকা আত্মসাত করে উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান।
সদর উপজেলা কুলাঘাট ইউনিয়ন থেকে আসা আরইআরএমপি এর সরকারি শ্রমিক সাজেদা বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন ৪০টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে ১৫ কিলোমিটার দুরে এসে কাজ করছি। আবার ৪০টাকা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। উপজেলা প্রকৌশলী স্যারের নির্দেশতো মানতেই হবে’ জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার স্যামসাং বাবু কোন মন্তব্য না করলেও উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান সরকারি শ্রমিক দিয়ে ঠিকাদারি প্রকল্পের কাজ করনো অনিয়ম স্বীকার করে বলেন, রাস্তাটি আরো মজবুত করার জন্য দুই পাশে সরকারি শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হয়েছে। তাহলে বাজেটের প্রায় ৩লাখ টাকা কোথায় ব্যয় হয়েছে? এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন