ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
ফুলবাড়ী থানার সাদা পোষাকধারী দুই পুলিশ সদস্য সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় বিজিবি’র সন্দেহ হলে মাদক সহ তাদেরকে আটক করে বিজিবি। এ সময় পুলিশের পরিচয় পত্র সাথে না থাকায় বিপাকে পড়েন ফুলবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন ও কনেস্টবল আনোয়ার হোসেন। এ নিয়ে পথে উভয়ের মধ্যে বাগবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। পড়ে উভয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অতিরিক্তি পুলিশ ও বিজিবি’র সমন্বয়ে ঘটনাস্থল থেকে আটক গাঁজা গুলো থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে যৌথ ভাবে গাঁজা মালিকদের বিরুদ্ধেমামলা দায়ের করা হয়।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফুয়াদ রুহানী জানান, গতকাল শনিবার সকাল ৯টার সময় ফুলবাড়ী উপজেলার ৯৩১ নং আর্ন্তজাতিক মেইন পিলারের সন্নিকটে ধুলারকুটি এলাকায় নারী শিশু নিযার্তন আইনের একটি মামলা তদন্ত করার জন্য এসআই ইসমাইল হোসেন ও কনেস্টবল আনোয়ার হোসেনকে পাঠানো হয়। এ সময় গোপন সংবাদে ওই এলাকার চেংটু মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীনের বাড়ী তল্লাশী করে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে তারা। গাঁজা গুলো নিয়ে আসার সময় কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বিজিবি’র সদস্যরা বালারহাট সংলগ্ন এলাকায় তাদের পরিচয় জানানোর জন্য মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। তারা পরিচয় দেয়া সত্বেও তাদেকে ছেড়ে না দিয়ে বিজিবি’র উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করে।

৪৫ বিজিবি’র ব্যাটালিয়নের অধীনে শিমুলবাড়ী কোম্পানির নায়েক সুবেদার শাহআলম জানান, সীমান্ত এলাকায় কোন মালামাল পুলিশ আটক করলে নিকটবর্তী বিজিবিকে জানানোর বিধান রয়েছে। কিন্তু তারা সেটি করেনি, এছাড়াও পুলিশের কোন পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি তারা। তাই আমাদের সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে মামলা দেয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাগেশ্বরী সার্কেল আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, পুলিশ ও বিজিবি’র মধ্যে ভুল বুঝা বুঝির হয়। পরে উভয়ের সমন্বয়ে উদ্ধারকৃত গাজা গুলো দিয়ে সংশ্লিষ্ট মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন