বিশেষ প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, নবাব সিরাজউদ্দৌলার শাহাদাতের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী ও সম্প্রসারণবাদী হায়েনাদের আগ্রাসী থাবায় বাংলাদেশ এখন প্রেতরাজ্য হওয়ার উপক্রম।
তিনি বলেন, নারকীয় তান্ডব চালিয়ে, রাজনৈতিক ধুম্রজাল সৃষ্টি করে ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে অঘোষিত যুদ্ধে রূপান্তরিত করে এসব শক্তি বাংলাদেশে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার আস্ফালন চালাচ্ছে।
তিনি জাতীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার ২৬০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক মতিয়ারা চৌধুরী মিনু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু, যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্রের সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল, পরিষদের রিভা আক্তার, আবদুর রাজ্জাক, আমানুল্লাহ কবির প্রমুখ।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, আমাদের প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে নবাব সিরাজউদ্দৌলার জীবনকর্ম ও পলাশী যুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা জরুরী। কারণ এখনও দেশ ও জাতির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে নব্য মীরজাফররা ওঁৎপেতে আছে। তাদের থেকে সাবধান হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, একথা সত্য, নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইতিহাসের এক ভাগ্যাহত বীর ও দেশপ্রেমিক। সিরাজউদ্দৌলার ইতিহাস আমাদের জাতীয় ইতিহাস। এ ইতিহাস নতুন প্রজন্মের শিক্ষা নেয়ার ইতিহাস। এ শিক্ষা প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা, দেশের প্রতি ভালোবাসা, দেশী-বিদেশী দুষ্ট শক্তির চক্রান্তের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ানোর শিক্ষা।
তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আসন্ন রাজনৈতিক ঝড়ের পূর্বাভাসে জনগণ উদ্বিগ্ন ও শংকিত। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ইহা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, শাসকগোষ্টি ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেনি।