সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে ইব্রাহিম হত্যা মামলায় আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাফরুল হাসান এ রায় দেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রাম পাঙ্গাসী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে শামীম (৩৫), সোরমান আলীর ছেলে রব্বানী (৩২), রহিজ প্রামানিকের ছেলে মিন্টু প্রমানিক (৩৩), একই উপজেলার মিরেরদেউলমুড়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে কালাম (৩২), বগুড়া জেলার শেরপুর থানার হোসনেবাদ এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে দুদু প্রামানিক (৩০) ও জিয়াউর রহমান (২৮), একই এলাকার বিশা সেখের ছেলে আব্দুস সামাদ সেখ (৩২), শেফাত আলী প্রামানিকের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৫)। এদের মধ্যে শামীম (৩৫) পলাতক রয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান  জানান, ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টম্বর সকাল ১১টায় শেরপুর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের তিন ব্যক্তি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রাম পাঙ্গাসী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে এসে গুড়ের ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়।এ সময় তার জামাতা ইব্রাহিম খলিলের খোঁজ খবর নেয়। তারা ইব্রাহিমকে না পেয়ে চলে যায়। ৩০ নভেম্বর রাতে ওই ব্যক্তিরা পুনরায় মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে এসে আবারও ইব্রাহিমের খোঁজ খবর নেয়। এ সময় স্থানীয় শামীম, রব্বানী ও মিন্টু তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

পরে তারা শামীম, রাব্বানী ও মিন্টুর সহযোগিতায় ওই ব্যক্তিরা ইব্রাহিম খলিলকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে নিয়ে যায়।

রাতে আর ইব্রাহিম বাড়িতে ফেরেননি। রাতেই সকালে ইব্রাহিমকে হত্যা করে রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রাম পাঙ্গাসী বাজারের আজাদ মজলিস ক্লাব এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর মোহাম্মদ আলী ১১জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় প্রদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *