মো: নাজমুল হুদা মানিক ॥
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনারবাংলা গড়তে ময়মনসিংহে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা অগ্ররী ভুমিকা পালন করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক নির্দেশনায় সত্যিই বাংলা আজ সোনারবাংলায় রূপান্তর হচ্ছে। আওয়ামীলীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আহবানে ময়মনসিংহে জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীর জুবায়ের ইসলাম তারিনের নেতৃত্বে অর্ধশত নেতাকর্মী ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে। ছাত্রলীগ নেতাদের কর্মউদ্দীপনায় মাঠের ধান ঘরে পেয়ে আনন্দে আত্নহারা কৃষক/কৃষানীরা। ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্যোগে চলতি মৌসুমের আগাম ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। বোর মওসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতঙ্কে ধানকাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক অসহায় কৃষক তাদের জমির পাঁকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। এ অবস্থায় লোকসান কমাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশক্রমে কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। “কৃষক বাঁচলে, বাঁচবে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই মুলমন্ত্রকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর সংগ্রামী সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও বিপ্লবী সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এর নির্দেশে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ এর সংগ্রামী সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ জহিরুল হক খোকা, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ এর অন্যতম সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আমিনুল হক শামীম (সিআইপি) এবং তরুণ প্রজন্মের অহংকার, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এর মাননীয় মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু এর অনুপ্রেরণায় ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ এর পরিশ্রমী ছাত্রনেতা তানভীর যোবায়ের ইসলাম তারিন এর নেতৃত্বে ১৯ এপ্রিল সারাদিন ব্যাপী সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের কাতলাসেন গ্রামের ২জন গরীব বর্গা কৃষকের যথাক্রমে ৬৫ শতাংশ ও ২০ শতাংশ ফসলি জমির পাঁকা ধান কেটে তাদের ঘরে তুলে দেন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীর জুবায়ের ইসলাম তারিনের নেতৃত্বে ৩০ নেতাকর্মী ধান কাটার এ কাজে অংশ গ্রহন করে। কাতলাসেন এলাকার চরপাড়া থেকে এক কিলোমিটার দূরে কৃষক চাঁনু মুন্সী ও আব্দুর রহমানের বাড়িতে ধান কাটা শেষে নেতাকর্মীরা তা পৌঁছে দেন। জানা গেছে, একদিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাব, অন্যদিকে শ্রমিক সংকটসহ কৃষি মজুরি আশঙ্কা জনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পাঁকা ধান নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা শঙ্কায় পড়েছেন। যেখানে আগে দৈনিক মজুরি ছিল ৩০০ টাকা, এখন তা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলে কৃষকরা শ্রমিক জোগাড় করতে দিশাহারা হয়েছে। পাঁকা ধান নষ্ট হতে চলেছে। কৃষক চাঁনু মুন্সী ও আব্দুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিক সংকটের কারণে পাঁকা ধান কাটতে পারছিলাম না। এ কারণে জমিতে পাঁকা ধান নষ্ট হচ্ছিল। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে ধান কাটায় সাহায্য করেছে, তা কখনো ভোলার নয়। জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীর যোবায়ের ইসলাম তারিন জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গরীব ও অসহায় কৃষকদের কল্যানে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ এর এ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীর জুবায়ের ইসলাম তারিন বলেন, ‘মানবিক কারণেই আমরা দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দিয়ে সহায়তা করেছি। যে দরিদ্র কৃষকরা জমির ধান কাটতে পারবে না, তাদেরকে ধান কাটাসহ বাড়িতে পৌঁছানোর কাজে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। খাদ্য ও শ্রমিক সংকট মোকাবিলার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই গুরুত্বপূর্ণ আহ্বানকে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট মো: জহিরুল হক খোকা ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল প্রাণঢালা অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এই মহতি উদ্যোগ ও মানবিক কাজকে প্রাণভরে সাপোর্ট করছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সবাই যাতে এমন মানবিক কাজে এগিয়ে আসেন তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ, প্রশাসন, ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীগণ এই মুহুর্তে যাতে শ্রমিক সংকট নিরসনসহ খাদ্যের সঠিক প্রাপ্যতা বৃদ্ধি ঘটে তার জন্য সবারই সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি। সকল সংকট মোকাবিলা করেই আমাদের সবার মাঝে আবার আলো আসবেই।