ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষক নিয়োগ
ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর জাল করে গোপনে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে উপজেলার সোনাহাট দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আলমগীর হোসেন যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতির কারনে বিদ্যালয়ের অতীত ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। সম্প্রতি উক্ত প্রধান শিক্ষক সরকারীবিধি না মেনে গোপনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ অনেকের স্বাক্ষর জাল করে গত ১৫ আগষ্ট/২০১৮ সালের ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে আলমগীর হোসেন ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়েই বিদ্যালয়ে গোপনে সুমন কুমার নামে একজন হিন্দু কাব্যতীর্থ শিক্ষককে নিয়োগ প্রদান করে এনটিআরসির চাহিদা প্রদান সহ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটি গঠনের ১৮০ দিন পুর্বে দাতা সদস্য এজেন্ট নিয়ে ৬০দিনের মধ্যেই কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। সরকারী বিধি মোতাবেক হিন্দু শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪০ জন শিক্ষার্থীর প্রয়োজন থাকলেও বিদ্যালয়ে হিন্দু শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ২ জন রয়েছে। বিষয়টি জানাজানির পর ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত প্রধান শিক্ষক কোন সঠিক জবাব দিতে না পারায় প্রতিকার চেয়ে আব্দুস সামাদ ও এনামুল হক ফুলে প্রধান শিক্ষকের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা,উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার নিকট তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি আক্তার হোসেন শিক্ষক নিয়োগে তার কোন স্বাক্ষর নেয়া হয়নি বলে দাবী করলেও প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন সরকারীবিধি মেনে এনটিআরসিএর নির্দেশ মোতাবেক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে । কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আইবুল ইসলামকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে । গোপনে উৎকোচের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক ও কমিটির মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে যেকোন মুহুর্তে অপ্রীতিকর ঘটনার সুত্রপাত হতে পারে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *