এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
হঠাৎ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫-৭ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। অন্য সমস্যার রোগী ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় ওয়ার্ডে জায়গা না থাকায় বারান্দায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একইভাবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে।
 
পাকেরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মার্চ মাসের শুরু থেকে হঠাৎ করে উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ শুরু হলেও এই সপ্তাহে রোগের তীব্রতা বেড়ে যায়। প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন এবং ৫-৭জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের ঠাঁই হয়েছে বারান্দায়। এ অবস্থায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স-মিডওয়াইফ, ওয়ার্ড বয়, আয়া ও কর্মচারীরা।
 
গত রবিবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত কান্তকে নিয়ে উপজেলার দুহশুহ গ্রাম থেকে হাসপাতালে আসেন বাবা দুলাল। বেড না থাকায় বারান্দায় থেকেই সন্তানের চিকিৎসা নেন। সুস্থ হওয়ায় চিকিৎসক আজ ছাড়পত্র দিয়েছেন।
 
ওয়ার্ড ইনচার্জ হাবিবা ইয়াসমিন বলেন,সোমবার ৫জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ৩জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে।
 
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা.শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া রোগী বাড়তে পারে। এ সময়ে শিশুদের প্রতি যত্নশীল থাকতে হবে। পাতলা পায়খানা শুরু হলে শিশুকে মুখে খাবার স্যালাইন বার বার খাওয়ানো ও মায়ের বুকের দুধও খাওয়াতে হবে। জরুরী সমস্যায় যেকোন প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি মানার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
 
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা.মো.মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে শয্যার সংখ্যা কম থাকলেও জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রস্তুতি পর্যাপ্ত রয়েছে। কিছুটা কষ্ট হলেও ভালো চিকিৎসা পাবে সব রোগী। এছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সবসময় হাত পরিষ্কার রাখারও পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন