জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রায় আট বছর যাবৎ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার দক্ষিণ ধুরইল এবতেদ্বায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক অফিস কক্ষে টাঙা হয়নি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙার নির্দেশনা থাকলেও মাদ্রাসার সুপার নাজমুছ সায়াদত ও সভাপতি আবু সালেহ বঙ্গববন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অফিসে টাঙাতে রাজি না। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বানাতে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, ২০১৩ সালে নাজমুছ সায়াদত ওই মাদ্রাসার সুপার পদে যোগদান করেন। যোগদানের প্রায় আট বছর পেরিয়ে গেলেও আজও বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি মাদ্রাসার অফিস কক্ষে টাঙায়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। অথচ উপজেলার এবতেদ্বায়ী মাদ্রাসা গুলোর মধ্যে একমাত্র এমপিও ভুক্ত মাদ্রাসা এটি। সরকারের বেতন ভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহন করলেও অথচ সেই প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙাতে অনীহা। এছাড়াও বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগও আছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
মাদ্রাসার সুপার বলেন, আমার যোগদানের আগেও কোন ছবি ছিলনা। আমি বঙ্গবন্ধু ও প্রধামন্ত্রীর ছবি বানাতে দিয়েছি। যোগদানের আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখন বলছেন ছবি বানাতে দিয়েছেন এমন পশ্ন করলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
সভাপতি আবু সালেহ বলেন, এঘটনায় রাতে আমি আমি নিজেই মাদ্রাসায় গিয়ে ছবি টাঙায়ছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তার হোসেন মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ওই মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর ব্যবস্থা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.বরমান হোসেন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি কেন টাঙা হয়নি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।