মুর্শিদ আলম মুরাদ(আদিতমারী)লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে উপজেলা কমিটি নিয়ে, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ায় হয় এতে পুলিশ, সাংবাদিক ও পথচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।শনিবার বিকেলে আদিতমারী উপজেলায় ঘণ্টাব্যাপী দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্রের মহড়া চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর ওই উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলেও কমিটি প্রকাশ না করে কেন্দ্রীয় নেতারা চলে যান। গত ১৯ নভেম্বর তিস্তা ব্যারেজ অবসরে জেলা কমিটির সভায় মোহাম্মদ আলীকে সভাপতি ও রফিকুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি প্রকাশ করে। তার দুই দিন পর ২১ নভেম্বর তৃনমুল আওয়ামীলীগ পাল্টা একটি কমিটি দেয় যেখানে ভাদাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কৃশ্ন কান্ত রায় বিধুর সভাপতি এবং কমলাবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতী সাধারন সম্পাদক।
শনিবার ২৬ নভেম্বর দুই কমিটি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয়। বিকেলে এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেয়।আদিতমারী থানার ওসি মোক্তারুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সংঘর্ষ শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হলে আদিতমারী জিএস স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আলী ও রফিকুল আলমের সমর্থিত নেতা কর্মিরা।এনিয়ে আদিতমারী আওয়ামীলীগের মাঝে থমথমে আতংক বিরাজ করছে।