মুর্শিদ আলম মুরাদ লালমনিরহাট (আদিতমারী) প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের আদিতমারীত উপজেলায়। উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে চলে আসা দীর্ঘদিনের কোন্দলের ফলস্রুতিতে, ২৬ নভেম্বর বিকালে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন আদিতমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের এক অংশ। ২৭ নভেম্বর রবিবার বিকালে আদিতমারী উপজেলার আওয়ামীলীগের দলিও কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।২১ নভেম্বর আদিতমারী উপজেলার তৃনমুল আওয়ামীলীগের ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও ভাদাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্রী কৃশ্ন কান্ত রায় বিধুর। এবং তৃনমুল আওয়ামীলীগের ঘোষিত সাধারন সম্পাদক ও কমলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতী।সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যর মাঝে মাহমুদ ওমর চিশতী বলেন,, আদিতমারিতে গত ৮ ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন এ সম্মেলনে দলের সাধারন সম্পাদক পদ প্রার্থী ছিলাম আমি, বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ সামসুল ইসলাম সুরুজের কনিষ্ঠ পুত্র এবং আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস এর ছোট ভাই, কমলাবাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক, মাহমুদ ওমর চিশতী।উক্ত সম্মেলনের শুরু থেকে রাত ১১ ঘটিকা পর্যন্ত সম্মেলনের মাঠ আমার নেতা কর্মিদের স্লোগানে মুখরিত ছিল।কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে জেলার নেতাদের সমন্বয় না হওয়ায়,অনুষ্ঠান সমাপ্ত করে নেতারা লালমনির হাট সার্কিট হাউজে চলে যায়, সেখানেও রাতভর আলোচনা করেও যখন সমঝোতা না আসে তখন কেন্দ্রিয় নেতারা লালমনিরহাট ত্যাগ করেন। সেই দিন থেকে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কমিটির ঘোষনা স্থগিত ছিল।কিন্তু গত ১৯ শে নভেম্বর শনিবার লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয় তিস্তা ব্যারেজ অবসরে। মাসিক সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব, মোতাহার হোসেন (এমপি), সাধারন সম্পাদক জনাব,এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান,সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব,নুরুজ্জামান আহম্মেদ, জনাবা এ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি সহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিরা।সেখানে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী কে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং বিএনপি নেতার পুত্র রফিকুল আলমকে সাধারন সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিতর্কিত কমিটির অনুমোদন দেয়।

বিগত সময়ের বিএনপি নেতা কর্মিদের, আওয়ামীলীগের উপজেলা কমিটিতে পদ দিয়ে, মাসিক সভা থেকে এই পকেট কমিটি ঘোষানা করেন জেলার নেতা কর্মিরা।তারই প্রতিবাদে, ২০ নভেম্বর রবিবার বিকেলে আদিতমারী উপজেলা তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিরা পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে, ঝাড়ু মিছিল সহ বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপি সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে দলিও কার্যালয়ের সামনে,তৃনমুল নেতা কর্মিদের প্রস্তাবে ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, শ্রী কৃশ্ন কান্ত রায় বিধুর কে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং আমাকে( কমলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মাহমুদ ওমর চিশতী কে) সাধারন সম্পাদক ঘোষনা করেন এবং যতদিন এই পকেট কমিটি বাতিল না হবে ততোদিন দলিও সকল কার্যক্রম তৃনমুল আওয়ামীলীগ পরিচালিত করবে।তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৬ নভেম্বর আমাদের শান্তিপূর্ন সমাবেশে, বিএনপি নেতার ছেলে রফিকুল আলম এবং বিএনপির সাবেক উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে বিএনপি জামায়াতের চিহ্নিত সন্ত্রাসিরা আমাদের উপর হামলা চালায় এবং দলিও কার্যালয় সহ প্রধান মন্ত্রির ছবি ভাংচুর করেন।যার ভিডিও ফুটেজ আপনারা দেখেছেন। তারা দেশিও অস্ত্র নিয়ে বারবার মহরা দেয়।এতে তৃনমুল আওয়ামীলীগের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ জন্মনিয়েছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন আপনাদের মাধ্যোমে আমি প্রধান মন্ত্রির দৃষ্টি আকর্ষন করছি তিনি যেন অনতিবিলম্বে আদিতমারীর এই জামায়াত রাজাকারের কমিটি বাতিল করে। সুন্দর গ্রহনযোগ্য কমিটি উপহার দেয়। যেই কমিটি আগামি সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ি করতে অগ্রনি ভুমিকা পালন করবে।
তৃনমুল আওয়ামীলীগের ঘোষিত সভাপতি। কৃশ্ন কান্ত রায় বিধুর বলেন, তারা এমন একটি কমিটি দিয়েছে যেখানে বিএনপি নেতা কর্মিরা আওয়ামীলীগ চালাবে, তারা তাদের গাড়ির ড্রাইভার কেউ কমিটিতে রেখেছে। কিন্তু আমরা আওয়ামীলীগের একনিষ্ট কর্মি আমাদের কোন মুল্যায়ন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *