মোঃখলিলুর রহমান
বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম থেকে ॥
নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ‘ইফকো ভবন’ নামক একটি গেস্ট হাউজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ১১ পতিতা-খদ্দেরকে আটক করে প্রত্যেককে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পেছনে ‘গোয়াছি বাগান’ নামক স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচ পুড়িয়া গাঁজা উদ্ধারসহ ৫ জনকে আটক করে প্রত্যেককে ৫শ’ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ৫ ফেব্র“য়ারি ২০১৭ ইং রোববার বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরাফাত হোসেন পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। পাঁচলাইশ থানা পুলিশ অভিযানে সহযোগিতা করেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরাফাত হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ৫ ফেব্র“য়ারি ২০১৭ ইং রোববার দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন অভিজাত এলাকা নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি ৫ নং রোডের ১৫ নং ‘ইফকো ভবন’ নামক গেস্ট হাউজের দ্বিতীয় তলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ১১ পতিতা-খদ্দেরকে আটক করে দন্ডবিধির ১৮৬০ এর ২৯৪ ধারার বিধানমতে প্রত্যেককে ১১ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৫ জন মেয়ে ও ৬ জন ছেলে রয়েছে। ‘ইফকো ভবন’ গেস্ট হাউজটি চট্টগ্রামের মুরাদপুর-লালখান ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাক্স’ অফিসের সামনে অবস্থিত।
এছাড়া বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পেছনে ‘গোয়াছি বাগান’ নামক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে গাঁজাসেবনরত অবস্থায় ৫ জনকে আটক করে পাঁচ পুড়িয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এরপর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ২৬ ধারামতে তাদের প্রত্যেককে ৫শ’ টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।