মোঃ আশতাব হোসেন
অভাবে প্রয়োজন মেটায় কাছে এনে
লজ্জার ইস্পাত জাল দুভাগ করে,
নীতির সুইচ চাহিদার হাতে বন্ধ করে
বাড়িয়ে দেয় নিতান্ত অনাহারী চামচ।
লোক চোখের রক্তিম আঘাত উপেক্ষিত
ক্ষুধার্তের মাটির শানকির জোরে,
প্রয়োজন তাকে যোগায় সিংহ-সাহস
হিংসা দলিত করে পাদুকাবিহীন চরণ।
অভিমান নেই ক্ষোভ থাকে না লুকিয়ে
ভিখারির ময়লাযুক্ত পুরাতন ঝুলির ভিতর,
ফ্যালফ্যাল চোখ ব্যক্ত করে প্রয়োজন
কুঁকড়িয়ে বেচেঁ থাকবার লঘু চাহিদার।
সৌখিন ইমারত খাট পালঙ্ক বসন বিলাস
ভীড়ে না তাদের স্বপ্ন সীমানায় পথ ভুলে,
জাগরণে যায়না আকাশ গমন স্বপ্নে ডুবে
মাটিতে শুয়ে নিদ্রায় স্বপ্ন দেখে নির্দয় হৃদয়।
তাড়িয়ে দেয়ার কর্কশ কণ্ঠস্বর শুনে
ব্যর্থের নীলাভ হাসিতে কখনো আতঙ্কে
অতিক্রম ব্যস্ত হয় যেতে অপর সীমানায়,
বুকে বেঁধে এক মানবতার ছায়া সন্ধানে!
সেখানেও হলে বঞ্চিত ধারিত আশার বুক
বাঁকা হাড় সংকোচিত হয়ে বের হয়
তপ্ত দীর্ঘশ্বাস অধিকতর বেগে জিহবা শুকিয়ে,
না পুড়লেও কোনো মন, ভস্ম হয় বনানীর সবুজ!
অনুতাপির অনুতপ্ততা পাওয়া বিলাসী প্রাপ্তি
চুইয়ে পড়ে তাতে আবেগের অশ্রু মলিন বদনে,
রঙ্গের বাজারে বিক্রি হয় না রং তাদের কাছে
রং তামাশা তাদের কাছে সপ্ত রঙ্গা স্বপ্ন,
রয়ে যায় আজীবন গোধূলির আয়োজনে।
অভাবের প্রয়োজন রূপে ঝরে আঁধার রং
ভরা জ্যোৎস্নার আলো পরাজিত করে,
চাহিদার থালা ক্ষুধায় চিৎকার করে বলে
অনুভূতি আছে কার, চাই তাঁরই সন্ধান!