রতি কান্ত রায়,কুড়িগ্রাম :
ঢোলকলমি গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদ। অবহেলা ও অযত্নে বেড়ে ওঠা আগাছা উদ্ভিদ বেড়ালতা বা ঢোলকলমি।

গ্রামগঞ্জের পথে-ঘাটে, রাস্তার ধারে, খাল – বিলের ধারে, জলাশয়ের ধারে, বাড়ির আশপাশে প্রায় সর্বত্র দেখা যেত। ঢোলকলমি গাছ অল্পদিনের মধ্যে ঘন ঝাড়ে পরিণত হয়।

এ গাছ জমির ক্ষয়রোধ করে। ফসলের মাঠ বা নদীর তীরে পাখি বসার জায়গা করে দেয় এই গাছটি ।

গ্রামে ঢোলকমলি গাছকে বেড়া বা চেকার ও জ্বালানি হিসাবে ব‍্যবহার করা হয় কিন্তু এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।

দেশের সর্বত্র ঢোলকলমি বা বেড়ালতা নামে সুপরিচিত। পাতা তোতা স্বাদের হওয়ার কারণে এর পাতা গবাদি পশু খায় না। ঢোলকলমির গাছ ৬-১০ ইঞ্চি পযর্ন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

সবুজ পাতার গাছটির ফুল যেকোন বয়সি মানুষের নজর কাড়বে। এর ৫টি হালকা বেগুনি পাপড়ির ফুল দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। সারা বছরই এর ফুল ফোটে। ফুল দেখতে অনেকটা ঘন্টা বা মাইক আকৃতির মতো। ফুলের রং হয় হালকা বেগুনি ও সাদা।

ঢোলকলমির পাতা বা ফুল ছিঁড়লে সাদা কষ বা আঠা বের হয় এবং এই উদ্ভিদ প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারে।

আবার বর্ষার শেষে শরৎ থেকে শীতে সবচেয়ে বেশি ফুল ফোটতে দেখা যায়। এর একটি মঞ্জরিতে সর্বোচ্চ ৪টি-৮টি ফুল থাকে। ফুলে মধু সংগ্রহের জন‍্য মৌমাছি, বোললা, পিপঁড়া ভিমরুল ভীড় জমায়। নদীর তীরে কিংবা ফসলের মাঠে ঢোলকলমি জম্মে পাখি বসার জায়গা করে দেয়। এ গাছে পাখি বসে ফসলের মাঠের পোকা খেয়ে ফসল রহ্মা করতে সাহায্যে করে।

গ্রামের শিশুরা এর ফুল দিয়ে খেলা করে। ফুল দিয়ে মাইক বানিয়ে গাছের উপর বেঁধে খেলা করতো।

প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সুরহ্মায় এই ঢোলকলমি উদ্ভিদকে সংরক্ষণের জন্য সকলের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *