আশানুর রহমান আশা বেনাপোল–
ভারতে করোনা মহামারি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে বাংলাদেশ সরকার গত ২৬ এপ্রিল ভারত গমনে নিষেধাজ্ঞা জারী করে সেই সাথে ভারতীয় যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশেও একই পদক্ষেপ নেয়।
অন্যদিকে যে সব আটকে পড়া বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী ভারত থেকে দেশে ফিরবে তাদের প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তারই ধারাবহিকতায় এক মাস পুর্তিতে বুধবার ৫ টার সময় বেনাপোলে ভারত ফেরত বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সাংবাদিকদের সাথে প্রধান অতিথি হিাসবে মত বিনিময় করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন।
বেনাপোল স্থল বন্দর এর আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সম্মেলন কক্ষে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান।
ভারত থেকে ফেরত যাত্রীদের নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা ও মত বিনিময় সভায়, সকল ফেরত যাত্রীদের সন্মানের সাথে গ্রহন করতে হবে। তাদের থাকার ব্যবস্থাা সহ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। ফেরত আসা যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে যে সকল সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের সহযোগিতা করতে হবে।
এছাড়া ফেরত আসা যাত্রীদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য জনবল সংকট এর কথাও উঠে আসে। ভারত ফেরত যাত্রীদের পাশাপাশি আলোচনায় উঠে আসে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের অবাধে চলাচল। প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় আমদানি পণ্য পরিবহনের সাথে ৬ থেকে ৭ শত চালক ও হেলপার বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
তারা পণ্য আনলোড করা পর্যন্ত দুই দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত বন্দর এলাকায় থেকে ঘোরা ফেরা করে। তাদের স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন বালাই নেই। এসকল চালক ও হেলপাররা বেনাপোল বাজার ও বন্দর এলাকায় যত্র তত্র বাজার করা দোকান থেকে চা পান ও ধুমপান করা সহ নানা কাজের অজুহাতে ঘোরাফেরা করে থাকে। এতে বন্দরে নিযুক্ত প্রায় দুই হাজার শ্রমিক, কয়েক হাজার সিএন্ড এফ ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী কর্মকর্তারাও স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
প্রধান অতিথি এনডিসি বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন মত বিনিময় অনুষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা কর্মাচারী সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন অনেক কিছু আমার জানা ছিল না। খুব দ্রুত এসকল সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিশেষ করে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের এদেশে আসলে একটি করে প্রতিষেধক ইনজেকশন এর ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি সাংবাদিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমাদের সকলের প্রচেষ্ঠায় করোনা মহামারিকে প্রতিরোধ করতে হবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে। সেই সাথে মাস্ক নিশ্চিত এবং জনগনকে সচেতনতায় উদ্ভুদ্ধ করারও আহবান জানান। দেশের স্বার্থ রক্ষায় সকল সচেতন নাগরিককে কোরনা মোকাবেলায় এগিয়ে আসার জন্যও তিনি অনুরোধ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিল বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান, যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু শাহিন, ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক সেলিম রেজা, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজা, শার্শা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) রাসনা শারমিন মিথি, নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান, ৪৯ বিজিবি টুআইসি মেজর তৌফিক হাসান, বেনাপোল স্থল বন্দর এর ডেপুটি পরিচালক আব্দুল জলিল ও মামুন কবির তরফদার, বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি মামুন খান, ইমিগ্রেশন ওসি মুজিবুর রহমান এনএসআই উপ-পরিচালক ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।