এস, কে সাহেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
মানব সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান। তিনি গরীব, অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জেলায় সুনাম অর্জন করেছেন। হয়ে উঠেছেন অনেকের জন্য উদাহরণ। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড।
অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন সুমন খান। শিক্ষাজীবনে ছাত্রলীগের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি। পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই নিরলস পরিশ্রম করে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেছেন। এরপর ছাত্র রাজনীতিতে একধাপ এগিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ -সভাপতি নির্বাচিত হন। তখন জেলার ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে ছুটে বেড়ান জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। পরে ছাত্রলীগ থেকে পৌর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। পরবর্তী সময়ে জেলা আওয়ামীলীগের উপ প্রচার সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন আওয়ামী লীগের ওই তরুণ নেতা। এদিকে রাজনীতি করতে গিয়ে বার বার অসংখ্য হামলা, মামলা, বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, জেল জুলুম সহ নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন তরুন নেতা সুমন খান
দলীয় নানা কারনে দীর্ঘ সময় ছিলনা লালমনিরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি। পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দলীয় নির্দেশনায় গঠিত হয় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি। আর সেই কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন সাখওয়াত হোসেন সুমন খান। সবশেষ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি।
এছাড়াও শ্রমিকদের দাবি আদায়ে সব সময় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা। দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। রাজনীতির পাশাপাশি জেলায় প্রতিষ্ঠিত বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের মুল ধারায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এই নেতা।
এদিকে ব্যবসায়ীক পরিবারে জন্ম হওয়ার কারনে ছোট্ট বেলা থেকে ব্যবসার দায়িত্ব তুলে নেন কাঁধে। শহরের সুপ্রতিষ্ঠিত খান ফার্টিলাইজার স্বত্বাধিকার তিনি। এ ছাড়াও ঠিকাদারি সহ বিভিন্ন কোম্পানির এজেন্সি, মোবাইল ডিলার সহ বেশ কিছু ব্যবসা রয়েছে তার। শহরের একমাত্র লিফট চালিত অভিজাত আবাসিক খান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিকও তিনি। এছাড়া শহরের নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে, সর্বোচ্চ কিস্তির সুবিধায় কোন সুদ ছাড়াই এবং যুব সমাজের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে গড়ে তুলেছেন নতুন আঙ্গিকে “নিরাপদ বাজার” নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জেলার ৫শতাধিক মানুষ সুবিধা ভোগ করে আসছে।
এছাড়া ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর কারনে ব্যবসায়ীক নেতা হিসেবে সর্ব মহলে বেশ সুনম অর্জন করেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লালমনিরহাটে পরিচালকের দায়িত্বপালন করেন। এরপর তৃতীয় বারের মতো সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এই সফল ব্যবসায়ী নেতা। তিনি দেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হয়ে নিয়মিত কর দিয়ে পর পর ৪ বার সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন।
যেভাবে আওয়ামী লীগ নেতা থেকে মানবিক নেতা হলেনঃ
সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষ, পথ শিশু,
গরীব-অসহায়-দিনমজুর-এতিম পরিবারের মাঝে বিভিন্ন সময়ে-বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছেন তিনি। বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত। যারা অর্থের অভাবে বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে ঘরে থাকার পরও বিবাহ দিতে পারছেন না, এমন পরিবারকে খুঁজে-খুঁজে নিজ অর্থায়নে তাদের বিবাহ সম্পুর্ণ করেছেন। তথ্য নিয়ে জানাযায়, ৩০টির বেশি গরীব ও অসহায় পরিবারের মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন এই গরীবের বন্ধু। মানব সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। এমন কি জেলার গরীব-অসহায়-অসুস্থ লোকদেরকে চিকিৎসা জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সব সময়। যারা দীর্ঘদিন অসুস্থ থেকে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। গোপনে অনেক মেধাবী গরীব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালাচ্ছেন তিনি। তাদের সামাজিকভাবে হেয় না করতে কখনো নাম প্রকাশ করেন না তিনি।
প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে জেলা শহরের সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে হতদরিদ্র-অসহায়-দিনমজুর-রিকসাচালক-ভ্যানচালক-বুদ্ধি প্রতিবন্ধী-ও সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ান। তাদের মাঝে নগদ অর্থ ঈদ উপহার হিসাবে বিতরণ করে আসছেন। জেলার মটর শ্রমিকলীগ, -রং ও ইমারত শ্রমিকসহ অন্যান্য ও গোপনে দলীয় নেতৃবৃন্দকে অর্থ সহায়তা দেন। এছাড়াও লজ্জায় অভাবের কথা মুখে বলতে পারেন না মানুষদের গোপনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগদ অর্থ সহায়তা করেন মানবিক এ নেতা।
এভাবে আওয়ামীলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের দীর্ঘদিন “মানব সেবা” জেলা জুড়ে সর্বস্তরে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আর এভাবেই তিনি ‘মানবিক নেতা’ হিসেবে পরিচিত পান।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. মতিয়ার রহমান এমপি বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরুণ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান এঁর মানব সেবা প্রশংসার দাবিদার। তার মানবিক কাজগুলো জেলা আওয়ামীলীগকে সম্মান এনে দিয়েছে।