রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রাজীবপুরের কোদালকাটি বাজারে তোতা মিয়া নামের এক মেম্বার প্রার্থীর ভাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টুলু মিয়ার (২২) বাম হাতের আঙ্গুল কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভোট চাওয়ার অপরাধে একই ওয়ার্ডের অন্য মেম্বার প্রার্থী পাপু মিয়ার দুই পুত্র ওই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার কোদালকাটি বাজারের ঘটনা এটি।
ওই ঘটনায় আহতের ভাই শাহাদত হোসেন বাদি রাজীবপুর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই মামলা রেকর্ট করে লাল মিয়া (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ঘটনায় আ’লীগ ও বিএনপি প্রার্থী ও সমর্থকদের মাঝে চরম উত্তেজনা রিরাজ করছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে ঘটনাটি দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের হলেও থানায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির লোকজনদের নামে। তবে আ’লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বিএনপি নেতাদের মদদে ওই ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, কোদালকাটি ইউনিয়নের সাজাই খয়রাত মেম্বার পাড়ার ৭নং ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টি সমর্থক পাপু মিয়া (ফুটবল প্রতীক) এবং কোদালকাটি ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক তোতা মিয়া (মোড়ক প্রতীক) সদস্য পদে প্রতিন্ধিতা করছেন। ঘটনার দিন তোতা মিয়ার ভাই ছাত্রলীগ নেতা তার ভাইয়ের পক্ষে এবং নৌকা মার্কার ভোট চাইছেন। এর এক পর্যায় মেম্বার প্রার্থী পাপু মিয়ার দুই পুত্র শাহীনুর রহমান ও শাহজাদা মিয়া রাম দা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এসময় টুলু মিয়ার বাম হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে নেয়া হয়েছে। শাহীনুর ও শাহজাদা দু’জনেই ছাত্রদলের সদস্য বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কোদালকাটি ইউনিয়নের আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী হুমায়ুন কবির ছক্কু অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার আগ মুহুর্তে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএনপি নেতারা উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখে। এরপরই ছাত্রদলের দুই কর্মী ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা করে। এ ঘটনা পরিকল্পিত এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছে।’
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনাটি দুই মেম্বার প্রার্থীর নিজেদের মধ্যে ঘটেছে। অথচ বিষয়টি কালার করে অন্যায় ভাবে বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রার্থীকে জড়ানো হয়েছে। উদ্দেশ্য ভাবে ৫ জনের মতো বিএনপি কর্মী ও প্রার্থীর নাম জড়ানো হয়েছে। যাতে নির্বাচনী মাঠে আমরা না থাকতে পারি।
রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রীতুষ কুমার জানান, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।