গত দু’দিন ধরে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে রৌমারীতে। ফলে রোগবালাই দেখা দিয়েছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ভির করছে রোগীরা। রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার না থাকায় সমস্যায় রয়েছে রোগীরা। প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা না পেয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক ও প্যাথলজিগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছে। উপজেলার সাহেবের আলগা, খেদাইমারী, ফুলুয়ারচর, পালেরচর, ধনারচরসহ বেশ ক’টি এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় শতাধিক বাড়ি ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভাঙন কবলিত মানুষ নিরাপদ স্থানে রয়েছে। রৌমারী ও আশপাশের বাজারগুলো থেকে পানি নেমে যাওয়ায় দুর্গন্ধ চরমভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সবজি দোকান ও মুদি দোনগুলো বিভিন্ন রাস্তার পাশে ভাসমানভাবে বেচাকেনা করছে। গো-খাদ্য সংকটের কারণে মানুষ কম দামেই বিক্রি করছে গরু বাছুর। প্রায় প্রতিটি রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় দূর্গম এলাকা থেকে মানুষ হাটে আসতে পারছে না। ঘরে বাইরে পানি থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে রৌমারীকে ‘বন্যা দূর্গত এলাকা ঘোষণা’ এবং পরে তা প্রত্যাহারে হতবাক হয়েছে সাধারণ মানুষ। বন্যা দুর্গত মানুষদের নিয়ে এমন ‘মশকরা’ ঠিক হয়নি বলে সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গোটা উপজেলার বন্যার্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ১৫৬ মে.টন চাল দেয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।