রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা বাজারে জুতা কিনতে আসা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে যৌন নিপিড়ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে রৌমারী থানায় মামলা হয়েছে। এর ৬দিন অতিবাহিত হলেও অজানা কারণে গেফতার হচেছ না যৌন নিপিড়ক মিজানুর রহমান মিজান (২৮)। বরং ওই শিশুটির পরিবারকে নানাভাবে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার ওই এলাকায় গেলে সাংবাদিকদের নিকট এমনই অভিযোগ করেন তারা। ফলে একদিকে ওই শিক্ষার্থী যেমন স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে তেমনি মিজান গ্রেফতার না হওয়ায় চরম হতাশায় পড়েছে পরিবারটি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ১১ মে ওই শিক্ষার্থী দাঁতভাঙ্গা কাচারী মাঠে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্ণামেন্টে খেলতে আসে। বিরতির সময় তার আরও ৩ বান্ধবীসহ জুতা কিনতে গেলে দোকানি কৌশলে ‘ভাল জুতা গোডাউনে আছে’ বলে সেখানে নিয়ে যায় তাদের। অন্যদের বাইরে রেখে গোডাউনের সার্টার ফেলিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন কায়দায় যৌন নিপিড়ন করে। পরে বাড়িতে এসে সব কথা খুলে বললে ওই রাতেই শিক্ষার্থীর পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।
প্রতিবেশি আব্দুল খালেক, জিন্নাল হক ও ইমান আলী জানান, ‘পুলিশ এলাকায় আসে। বাজারে চা খেয়ে আবার চলে যায়। কই আসামী তো গ্রেফতার করে না।’
কাউনিয়ার চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক সরকার জানান, ওইদিন থেকে মেয়েটি আর স্কুলে আসে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এতো বড় একটা ঘটনা অথচ পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করছে না। আমি ইউএনও মহোদয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। এ ব্যাপারে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক আমি কাজ করবো।
বিষয়টি নিয়ে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ফোর্স আসামীকে ধরার জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পলাতক থাকায় তা এখনও সম্ভব হয়নি। #