মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের রাজনগর থানা পুলিশ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে সোমবার উপজেলার খেয়াঘাট থেকে ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর নাম মফুর মিয়া চৌধুরী (২৬),পিতা সুন্দর মিয়া চৌধুরী, গ্রাম মুনিয়ার পার। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামী হাওর দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ ও পিছনে দৌড়াতে থাকে,অবশেষে বেশ দূরে হাওর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এ নিয়ে উক্ত মামলায় মোঠ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তবে মফুর মিয়া চৌধুরী মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী নয় বলে দাবী করেছেন,তার পিতা সুন্দর মিয়া। প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে সুন্দর মিয়া জানান,তার ছেলে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত নয়,তিনি সাংবাদিকদের উদ্যেশ্যে বলেন,আপনারা এলাকায় গিয়ে গোপনে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেন এলাকার সবাই বলবে আমার ছেলে নির্দোষ। সুধু গোষ্টিগত কলহের জের ধরে মিথ্যা তথ্যে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের শরনাপন্ন হবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।এদিকে মামলার আই ও রাজনগর থানার এস,আই আজিজ জানান, মামলায় উল্যেখিত ঘটনার সাথে গ্রেপ্তারকৃত আসামী জড়িত ছিল বলে এলাকাবাসী সহ বাদী থেকে তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্যেখ্য, ইউপি নির্বাচনে গত ৭ মে শনিবার উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মনিয়ারপার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে প্রিজাইডং কর্মকর্তা বদরুল আমিন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর এজেন্ট খুরশেদ আলম (২৫) বাহিরে গিয়ে তার প্রার্থীর পরাজিত হওয়ার খবর দিলে মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা আবারো ভোট গণনার জন্য প্রিজাইডিং অফিসারকে চাপ দেন। তিনি আবারো ভোট গণনায় রাজি না হলে মোহাম্মদ আলী ও তার লোকজন নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। প্রিজাইডিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে সদর সার্কেলের এএসপি রাশেদুল হক ঘটনাস্থলে যান। এসময় পরাজিত প্রার্থীর লোকজন পুলিশের গাড়িতে ঢিল ছুড়ে ভাংচুর করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পরাজিত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী (৪৫), মঞ্জুরুল আলম (২০) ও খুরশেদুল আলমকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ এসল্ট মামলায় জেলহাজতে পাঠায়। মামলা দায়েরের পর মুনিয়ার পার ও ফতেপুর গ্রামের মানুসজনের মধ্যে পুলিশী আতংক বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ আসার সংবাদ আসলে মুহুর্তেই দুঠি গ্রাম পুরুষশুন্য হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *