বিনোদন প্রতিবেদক
———-
কবি ও সাহিত্যিক মুকুল রায়। বিবিধ ধারার সাহিত্য কর্মের জন্য সাহিত্য মহলে তিনি পরিচিত “বহুমাত্রিক” লেখক হিসেবে। আজতার সুনাম বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বাইরেও। এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ ঢাকায় বিভিন্ন সাহিত্য-প্রতিষ্ঠা এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ –এ ইউবিছাড়াও তিনি সম্মানিত হয়েছেন দেশের বাইরের পশ্চিম বাংলার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিম বাংলায় আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন এবং আসামে। তার মুকূটে আজ সংযুক্ত হয়েছে কয়েক ডজন সম্মাননার স্মারক। দেশ এবং পশ্চিম বাংলার সীমানা ছেড়ে তার একটি জন প্রিয় সার্থক ভ্রমণ উপন্যাস “বাগেশ্বরী পাহাড়” এবাওে অসমিয়াভাষায়অনুবাদ হয়ে ২০১৬ সালেরডিসেম্বরে “গৌহাটি আন্তর্জাতিক বইমেলা/২০১৬”তে আসামের রাজধানীস্থ গৌহাটি প্রেসক্লাবে ও শিল্প নগরী ডিব্রুগড়ে মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবংকবিকেসপতœীকআমন্ত্রণ করে আসামে সংবর্ধনা দেয়া হয়। তার এই ভ্রমণোপন্যাসটিইংরেজিভাষায়এবংহিন্দী ভাষায়অনুবাদেরকাজচলছেমর্মে জানা গেছে। উল্লেখ্য যে, ভ্রমণ উপন্যাস “বাগেশ্বরী পাহাড়” গত ৫ বছরের ৫টি বইমেলায় ৫টি সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে। এ ছাড়াও উপন্যাসটি প্রায় ১ বছরধরে কোলকাতার ‘দৈনিক প্রয়াগ” পত্রিকার সাহিত্য পাতায় ধারাবিহিকভাবে ছাপা হয়েছে এবংএখন সিলেট থেকে প্রকাশিত “দৈনিক সবুজ সিলেট”-এর সাহিত্যপাতায় ধারাবাহিক ভাবে ছাপা হচ্ছে। মুকুল রায়ের জন্ম এই লালমনিরহাট জেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বরুয়াগ্রামস্থ গোবিন্দ পাড়ার সম্ভ্রান্ত গোবিন্দ বাড়িতে। তার পিতা ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজ-সংস্কারক, নারীশিক্ষার অগ্রদূত এক অসাম্প্রদায়িক ব্যাক্তিত্ব ; তিনি ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেও তার ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি তার প্রতিষ্ঠিত কুলাঘাট হাই স্কুলে আজীবন অবৈতনিক শিক্ষকতা করে গেছেন এবং ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে তার স্কুলেরছাত্রদেরকে গেরিলাযুদ্ধের ট্রেনিং দেয়া শুরু করেছিলেন। তিনি সেই বৃটিশআমলেকুড়িগ্রামের বৈদ্যেও বাজার এলাকার হরেনডাকুয়া নামক এক যুবকের সাথে এক বিধবা বালিকার বিয়ে দিয়ে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন – যে বিধবা বিবাহ ছিল সম্ভবতঃ তৎকালিন পূর্ববঙ্গে প্রথম বিধবা বিবাহ। কবির মাতার নাম গঙ্গাময়ী রায়। তারবড়ভাই কৃষ্ণগোপালরায়বাংলাদেশ সরকারেরঅবসরপ্রাপ্তযুগ্ম সচিব, মেজোভাইএলাকারসিনিয়রসাংবাদিক গোকুলরায়এবং ছোটবোন মুক্তি রায়লালমণিরহাটসরকারিকলেজেরইংরেজিবিষয়েরশিক্ষক। তার স্ত্রী শ্রাবণী চক্রবর্তী রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ঢাকার একটি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষয়িত্রী। কবি মুকুল রায়ের উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ, কাব্যগ্রন্থ এবংশিশুতোষ সাহিত্যগ্রন্থ মিলে এ পর্যন্ত প্রকাশিত মোট বইয়ের সংখ্যা ১৬টি। এ ছাড়াও তার লেখা ১১টি গান নিয়ে একটি গানের এ্যালবাম আছে। কবি আসাদ চৌধুরী, কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি মুহাম্মদ নুরুলহুদাসহ দেশেরকবি-সাহিত্যিকদেও উচ্ছসিত প্রশংসাধন্য এই কবিরজন্য লালমণিরহাট বাসি হিসেবে আমরাও গর্ববোধ করি। মুকুল রায় বাংলাদেশ সরকারের আয়কর বিভাগের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।