বিনোদন প্রতিবেদক :
হঠাতই দর্শকদের চাহিদা হারাতে বসেছেন নেটি দুনিয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হিরো আলম খ্যাত বগুড়ার আশরাফুল আলম সাঈদ। দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত জাহান জিমু তাকে তালাক দিয়ে হিরো সিহাবের সঙ্গে জুটি বেধেছেন। গাজীপুরের কোনাবাড়ির রফিকুল ইসলাম সিহাব গ্রামীণ কিচ্ছাপালা, নেটি নাটক ও মিউজিক ভিডিও নির্মাতা। হিরো আলমকে তালাকের পর থেকেই শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাংলা সিনেমার নায়িকা নুসরাত জাহান জিমু (সাথী)। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সংসার ভেঙে যাওয়ার পর থেকে দর্শক বিমুখ হয়ে পড়েছেন হিরো আলম। নিয়মিত কনসার্টেও তেমন একটা আমন্ত্রণ পাচ্ছেন না।

তবে-কি তার সদ্য সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী নুসরাতের কারণেই দর্শকপ্রিয় ছিলেন হিরো আলম? এমন মন্তব্য চলছে মিডিয়াপাড়ায়। হিরো সিহাবের সঙ্গে অভিনেত্রী নুসরাতের শুটিংয়ের বেশকিছু ছবি ও শর্ট ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে। এসব দেখে ও দর্শক বিমুখ হওয়ায় চটেছেন হিরো আলম। সদ্য সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে অশ্লীলতার নানা অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, তার স্ত্রী হওয়ার কারণেই নুসরাতকে দর্শকরা চিনে। তিনিই তাকে মিডিয়াতে এনেছেন। তবে নুসরাত বলছেন, তিনি তার যোগ্যতায় প্রতিষ্ঠিত। পরস্পর সহযোগিতায় তারা দর্শকপ্রিয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিরো আলম-নুসরাত জুটি দীর্ঘ চার বছর একসঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলায় কনসার্ট করেছেন। হিরো আলম অনেকের কাছে হাসির খোরাক হলেও দর্শকপ্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ২০১৯ সালে তারা বিয়ে করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন ছোট-বড় কনসার্টে গিয়ে যা আয় হতো, তার পুরোটাই নিতেন হিরো আলম। তারা শর্টফিল্ম, মিউজিক ভিডিও এবং কয়েকটি সিনেমায় নায়ক-নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এরমধ্যে হিরো আলম নিজের কন্ঠে গান গাইতে শুরু করেন এবং মডেল হন নিজেই। গানের ভিডিওগুলো হাসির খোরাক হলেও অনলাইনে লাখ লাখ মানুষ দেখে ফেলেছেন।
এদিকে বিয়ের তিন বছরের মাথায় হঠাতই দ্বিতীয় সংসার ভাঙল হিরো আলমের। তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীর পেটে সন্তান নষ্ট করাসহ একাধিক নারী আসক্তি ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। একাধিক নারীসঙ্গের কারণেই নাকি ভেঙেছে সংসার। হিরো আলমের প্রথম স্ত্রী বগুড়ায় থাকেন। সন্তানও রয়েছে তাদের। তবে ঢাকায় দ্বিতীয় সংসারে কোনো সন্তান নেই।

নুসরাতের কথায়, হিরো আলমের সঙ্গে তার বিয়ে হয় ২০১৯ সালে। সংসার খুব ভাল চলছিল। সে জানতো না আলমের আগের পক্ষের স্ত্রী, সন্তান রয়েছে। হিরো আলম বলেছিল তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর নুসরাত খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, আলমের সব কথা ছিল মিথ্যা এবং তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায় প্রথম সংসারে নিয়মিত যাতায়াত ও যোগাযোগ রয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, হিরো আলমের একাধিক নারীসঙ্গের অভিযোগও আনেন নুসরাত। তিনি বলেন, হিরো আলম নিজেকে স্টার মনে করে। ওর মধ্যে নারীর নেশা বেশি। আমি আমার সম্মান নিয়ে সরে এসেছি।

এবিষয়ে মন্তব্য নিতে আশরাফুল আলম সাঈদের (হিরো আলম) সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল সিরিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *