বিশেষ প্রতিবেদকঃ
নাম সাখাওয়াত হোসেন স্বপন। গ্রামের বাড়ি- কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম মংলারকুটিতে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা-পড়া করা অবস্থায় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর অধীনে আরবান কমিনিউনিটি ভলান্টিয়ার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তারপর কম্প্রেহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর প্রশিক্ষক হিসেবে পুনরায় ফায়ার সার্ভিস থেকে “ট্রেইনিং অব ট্রেইনার্স” কোর্সে অংশ নেন এবং সফলতার সাথে কোর্স সম্পন্ন করে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর CDMP সেলে। এরপর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউএনডিপি-চীন এর অর্থায়নে চীনের বেইজিং-এ “কমিউনিটি বেজড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ইন এশিয়া” নামক গ্রীষ্মকালীন ওয়ার্কশপ করে এসেছেন।

সাম্প্রতিক তিনি “সেফটি স্কুল” নামে একটি সংগঠন চালু করেছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী সেফটি স্কুল এক ধরণের আন্দোলন, যার মাধ্যমে তিনি দেশের মানুষের মধ্যে অগ্নিকান্ড, ভূমিকম্প ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চান। যে কোনো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন তাকে ডাকলেই তিনি চলে যান এবং কথা বলেন এসব বিষয়ে।
কিন্তু নিজ জেলা কুড়িগ্রামে এই প্রথম কথা এসব বিষয়ে কথা বললেন গত ২০ জানুয়ারি ২০১৮ইং তারিখে। গিয়েছিলেন তাঁর একসময়ের বিদ্যাপিঠ বলদিয়া হাই স্কুল, গিয়েছিলেন বলদিয়া ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় এবং শাহীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
শিক্ষার্থীদের কথা বললেন অগ্নিকান্ডের কারণ, অগ্নিকান্ডে করনীয়, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভুমিকম্প ব্যবস্থাপনা নিয়ে, পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আসার উপায় নিয়েও সামান্য আলোচনা ছিল।
শেষাংশে সাধারণ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বেছে নেয়া ১৫ জনের মধ্যে উপহার হিসেবে প্রদান করেছেন নিভৃতচারী লেখক জনাব হায়দার বসুনিয়া স্যার, বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক ও কথা সাহিত্যিক জনাব Touheedur Rahman স্যার এবং বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের গুণীজন শ্রদ্ধাভাজন Shahazada Basunia স্যার, কুড়িগ্রামের এই তিন গুণী মানুষের লেখা কিছু বই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বলদিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুস ছাত্তার বিএসসি স্যার, বলদিয়া কলেজের অধ্যক্ষ জনাব লুৎফর রহমান স্যার, শাহীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব রাশেদুল ইসলাম (রনি) সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।

জনাব সাখাওয়াত স্বপন জানান, নিজ এলাকায় এসে দুর্যোগ নিয়ে কথা বলতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। আগামীতেও চেষ্টা থাকবে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব বিষয়ে কথা বলবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *