ঢাকা সংবাদদাতাঃ
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ভারতীয় উপমহাদেশের বিদগ্ধ এ রাজনীতিবিদ ইন্তেকাল করেন। থেমে যায় মজলুম মানুষের পক্ষে বলিষ্ঠ কণ্ঠ। মওলানা ভাসানী তার দীর্ঘ কর্মময় জীবনে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সমাজ-রাষ্ট্রে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নিরলসভাবে করে গেছেন। তিনি ছিলেন নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী কিংবদন্তি।

দিবসটি যথাযোগ্যভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০টায় দলের পক্ষ টাঙ্গাইলের সন্তোষে মরহুমের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সকাল ১০.৩০ মিনিটে দলের পক্ষ থেকে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণসভা, দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিহবে।
একই সাথে ১৮ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় তোপখানাস্থ বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জনাব বরকত উল্লা বুলু, প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আলোচনায় অংশগ্রহন করবেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আগামীকাল ১৭ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা আর আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, আজীবন সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সমগ্র জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন চির বিপ্লবী ও বিদ্রোহী মওলানা ভাসানী। বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের শোষন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বাধীনতা পরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভারতীয় আধিপত্যবাদী-আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম, প্রবীন বয়সে ১৯৭৬ সালের ফারাক্কা লংমার্চ-সহ ইতিহাসের প্রতিটি বাকে তিনি আছেন।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন মওলানা ভাসানী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক পিতা ছিলেন তিনি। মওলানা ভাসানীকে তার প্রাপ্ত মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে আগামী ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।
তারা বলেন, মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ও তার আদর্শ ব্যবহারকারী রাজনৈতিক দলগুলো কেউ তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারেন নাই। বরং শাসকগোষ্টির অবহেলা আর অনাদরের কারণে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে মুছে ফেলতে চাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারী সাম্রাজ্যবাদী আর আধিপত্যবাদী শক্তির দোষররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *