স্টাফ রিপোর্টার :
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী খন্দকার আজিজুল হক আরজু। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। খন্দকার আরজুকে নিয়ে একটি মহলের সক্রিয় ষড়যন্ত্র এখন প্রকাশ্য। সভাপতি পদ নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ির অভিযোগ উঠেছে।
বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এএম রফিক উল্লাহর বাড়িতে গত শনিবার রাতে গুলি ও ককটেল হামলার অভিযোগে সড়ক অবরোধ করে একটি পক্ষ। তারা অভিযোগ করেন, ওই চেয়ারম্যানকে হুমকি দিয়েছিলেন সাবেক এমপি খন্দকার আরজু। সে বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে বলেও জানানো হয়। তবে হুমকি আর হামলা ঘটনা সাজানো নাটক কিনা, এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।
অনেকের প্রশ্ন, কেউ হুমকি দিয়ে কারো ওপর হামলা করতে পারে? একজন এমপি কি অবুঝ, যে এমন কাজ করতে পারে? গুলিবর্ষণ হলো, ককটেল ফাটালো, সেসময় চেয়ারম্যান কোথায় ছিলেন? নাকি খন্দকার আরজুকে ফাঁসাতেই সাজানো নাটক।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের এক প্রবীণ নেতা বলেন, খন্দকার আরজু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী জেনেই একটি পক্ষ অদৃশ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছায়া তদন্ত করলেই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তির মুখোশ উন্মোচন হবে।
এদিকে রোববার সকালে চেয়ারম্যানের সমর্থকরা কাশিনাথপুর মোড়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে। চেয়ারম্যান রফিক উল্লাহ বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ি লক্ষ্য করে ১১টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে খন্দকার আরজুর সঙ্গে আমার নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবার একটি বাড়িতে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় আমি আমিনপুর থানায় জিডি করেছি। আমার ধারণা, জিডি করাতেই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক নেতা আকরাম হোসেন বাদল বলেন, খন্দকার আরজুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ হাস্যকর। ষড়যন্ত্রের বিষয় পরিস্কার। চেয়ারম্যান বললেন, বিরোধ ছিল। সেজন্যই গভীর রাতে ককটেল হামলা ও গুলিবর্ষণ হয়েছে। একজন সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সত্যিই দুঃখজনক। চেয়ারম্যানের কাছে প্রমাণ আছে? ভিডিও আছে? জনগণকে দুর্ভোগে রেখে সড়ক অবরোধ করে ওই চেয়ারম্যানের লোকজন অপরাধ করেছেন৷
সম্প্রতি বেড়া উপজেলার নাটিয়াবাড়ীতে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিচতলায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, বিপুল ভেজাল ওষুধসহ দুজনকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের এমপির ভাতিজা বলে গুজব ছড়িয়ে দেয় একটি মহল। কিন্তু তারা এমপির ভাতিজা নন। অথচ এমপির ভাতিজা উল্লেখ করে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে। এনিয়ে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাবেক এমপি খন্দকার আরজু।
সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, সামনে জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। আমাকে নানাভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে দলের মধ্যেই প্রতিপক্ষ গ্রুপ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। পরিকল্পিত নাটক, ষড়যন্ত্র হচ্ছে, গুলি-ককটেল হামলার ঘটনা সেই ইঙ্গিত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *