লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু এর নিজ অফিস থেকে ভিডিও ভাইরাল হওয়া বোতলে কেউ বলছেন মধু ছিলো, কেউ বলছেন আয়ুর্বেদিক ওষুধ আবার কেউ বলছেন ফেনসিডিলের বোতল।
বোতল দেয়া ইউসুফ আলী নামে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিরুকে মধুর বোতল দিয়েছি’। আবার ইউসুফের কাছ থেকে যে বোতল নিয়েছেন, সেটিকে ভাইস চেয়ারম্যান মিরু আয়ুর্বেদিক ওষুধের বোতল বলে দাবি করছেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, ‘ওইটি ছিল ফেনসিডিলের বোতল’। মিরু নিয়মিত ফেনসিডিল সেবন করেন বলেও তারা দাবী করেন।

জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু তার নিজ অফিসেই এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফেনসিডিলের বোতল গ্রহন করে টয়লেটে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মোবাইলে ধারণ করা দুই মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু নিজের চেয়ার থেকে উঠে টয়লেটে প্রবেশ করেন। টেবিলের অন্য প্রান্তে তখন একজন পুরুষ ও একজন নারী বসে ছিলেন। টয়লেট থেকে বের হয়ে তিনি সোজা চলে যান টেবিল থেকে কিছুটা দূরে সোফার কাছে সেখানে বসা লুঙ্গি পরিহিত এক ব্যক্তির সামনে। কিছু সময় পর লুঙ্গির ভাঁজে লুকিয়ে রাখা একটি ফেনসিডিলের বোতল মিরুর হাতে তুলে দেন ওই ব্যক্তি। মিরু কিছুটা আড়াল করে সেই বোতল নিয়ে আবারও ঢুকে পড়েন টয়লেটে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভাইস চেয়ারম্যান মিরুকে যিনি ফেনসিডিলের বোতল দিয়েছেন তিনি উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের কানিপাড়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে ইউসুফ (৪২)। যার নামে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা।
এদিকে সরকারি অফিসে বসে মাদক গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হলে বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর বিরুদ্ধে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনা তদন্তে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদে আসেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।
অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যন আনোয়ার হোসেন মিরু বলেন, আমি মাদক নেইনি। আমার শারিরীক ও গোপন সমস্যার জন্য ইউসুফ নামের ওই ব্যাক্তি আমাকে ঔষুধের বোতল দিয়েছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটি ব্যবস্থা নিবেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, অফিস কক্ষে বসে মাদক সেবনের ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম এই তদন্ত করছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা লালমনিরহাট স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *