শামীম হোসেনঃ
আট বছর বয়সী শিশু রাইয়ান ইসলাম চলাফেরা তো দূরের কথা, উঠে বসতেও পারে না। তবুও মুখ ভরা হাসি নিয়ে বাড়ির উঠোনের এক কোণায় সারাদিন শুয়ে দিন কাটে তার।
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের জানজায়গীর গ্রামের দিনমজুর মোঃ নুর ইসলাম ও গৃহিণী লাকী বেগমের ছেলে রাইয়ানকে শারীরিক অক্ষমতা ঠেলে দিয়েছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রাইয়ান বড়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবেশী শিশুরা যখন স্কুলে যায় তখন বাঁশের চরাটের উপর শুয়ে সবার দিকে চেয়ে থাকে শিশুটি। খেলাধুলা, স্কুলে যাওয়া তো দূরের কথা, বাবা-মা আর আত্মীয়-স্বজনদের কোলে চড়ে চলাফেরা করতে হয় সবসময়। জন্মের পর থেকেই চলাফেরায় অক্ষম রাইয়ান।
হাতে-পায়ে নেই কোনো শক্তি। তবুও পড়াশোনায় প্রবল আগ্রহ তার। বই দেখলেই পা দিয়ে পাতা ওল্টানোর চেষ্টা করে সে। নির্মাণ শ্রমিক বাবার পক্ষে ছেলের জন্য কিনে দেয়া সম্ভব হয়নি একটি হুইল চেয়ার। দিনমজুরির অল্প উপার্জনে সংসার চলে কোনো রকমে এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে বাবার দিনমজুরি করে আর চলতে পারছেন নাহ তার বাবার চোখের অপরাশনের জন্য অনেক টাকা দরকার চোখে আর দেখতে পারছেন নাহ তাই তার রাইয়ানের মা অন্য বাড়ি বাড়ি কাজ করে কোনো মতে সংসার চালান। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্নজনের কাছে ছেলের জন্য একটি হুইল চেয়ারের সহযোগিতা চেয়েও মেলেনি। পেয়েছেন শুধুই আশ্বাস!
ছেলের জন্য একটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়ে মা লাকী বেগম বলেন, ভোটের আগে চেয়ারম্যান বলেছিলেন ‘জিতলে তোমার ছেলেকে একটি হুইল চেয়ার দেব’। নতুন করে আবারও ভোটের সময় এসে গেল, কিন্তু আমার ছেলে হুইল চেয়ার পেল না! একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা হলে, সে (রাইয়ান) স্বাভাবিক চলাফেরা করার সুযোগ পেত। এতে তারাও কিছুটা স্বস্তি পেতেন বলে জানান তিনি।
শিশু রাইয়ানকে কারও হুইল চেয়ার দেয়ার আগ্রহ থাকলে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন তার পরিবারের সঙ্গে ০১৭৭৫৬৫০৫৬৯ অথবা ০১৭৬৭০২২৯৬১।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *