ষ্টাফ রিপোর্ট:
বিনা শুল্কে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা কয়েক লাখ টাকা মুল্যের বিপুল পরিমাণ চুনাপাথর বোঝাই তিনটি ষ্টিল বডি (ইঞ্জিন চালিত) ট্রলার মালিকবিহিন অবস্থায় নৌপথেই ভাসছে।
রবিবার বেলা তিনটার দিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রপের নিয়োজিত নৌপথে থাকা প্রহরীরা সংসার হাওর সংলগ্ন বৈঠাখালী বাঁেধ প্রায় ৯০ মেট্রিকটন চুনাপাথর বোঝাই তিনটি ট্রলার আটক করেন।
রবিবার রাতে গ্রপের প্রহরীর দায়িত্বে থাকা শোয়েব আহমদ ও কনকন মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, গত কয়েকদিন ধরেই সড়ক পথে ট্রলি, লরি এবং নৌপথে চুনাপাথর ,কয়লা পরিবহন বন্ধ রয়েছে কিন্তু রবিবার ওই তিনটি ট্রলার বোঝাই করে কোন ভুয়া চালান পত্র তৈরী করে রকম বৈধ চালানপত্র, গ্রপের কাগজপত্র ছাড়াই চুনাপাথরের চালান গুলো নৌপথে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালায় চোরাচালান চক্রের সদস্যরা।
তাদের দাবি এসব চুনাপাথর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা নৌপথে পরিবহনের সময় নৌযান থেকে চুরি করে নিয়ে মজুদ করে রাখা ও সীমান্তের ওপার থেকে বিনাশুল্কে চোরাচালানের মাধ্যমে এনে মজুদ করে রাখা হয়েছিলো।
তারা এও বলেন,এসব চুনাপাথর কোন রকম এলসি বা আমদারিনকারকের ডিপোতে মজুদকৃত চুনাপাথর নয় বরং আইনশৃংখলা বাহিনীর নজর ফাঁকি দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে তারা অবৈধ চুনাপাথর বোঝাই তিনটি ট্রলার আটকে রেখেছেন থানা পুলিশ কিংবা বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবির নিকট হস্তান্তর করার জন্য।
ইতিমধ্যে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তাহিরপুর কয়লা আমদারিকারক গ্রপের আন্ত:র্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের।
রবিবার রাত সোযা ৯টায় আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে জানান,কোন রকম এলসি, প্রতিষ্ঠানের চালানপত্র, গ্রপের কাগজপত্র ছাড়া ভুয়া চালানপত্র তৈরী করে নিহা এন্ড নিলা,খাঁজারতরী,কবির মাঝির ষ্টিল বডি (ইঞ্জিন চালিত) তিনটি ট্রলার বোঝাই করে ৯০ মেট্রিকটন চুনাপাথর জোরপূর্বক উপজেলার বানিয়াগাঁও’র উস্তার আলীর ছেলে ফেসুক মিয়া ও কৃষ্ণতলার কটু পালের ছেলে ডিজেন পাল প্রভাব খাটিয়ে নিয়ে যায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁ’র ছেলে পারুল খাঁর পাথর ভাঙ্গানোর মিলে। এরপর গ্রপের নেতৃবৃন্ধকে জানিয়ে প্রহরীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ফের চেয়ারম্যান পুত্রের মিল ঘাট থেকে ফের চুনাপাথর বোঝাই ট্রলার গুলো নিয়ে আসে।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার বানিয়াগাঁও’র উস্তার আলীর ছেলে ফেসুক মিয়ার নিকট চুনাপাথর বোঝাই ট্রলার আটকের প্রসঙ্গে জানতে চ্ইালে তিনি বলেন, ডিজেন চুনাপাথর কিনেছে।
উপজেলার কৃষ্ণতলার কটু পালের ছেলে ডিজেন পালের মুঠোফোনে চুনাপাথর বোঝাই ট্রলার আটকের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন রকম সদুওর না দিয়ে বার বার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।
রবিবার রাতে এ বিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁ’র ছেলে আবুল কালাম ওরফে পারুল খাঁ’র মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করার ফোন কল রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এরপর আরেক দফায় কল করা হলে ফোন কল রিসিভ করে সাথে থাকা (অজ্ঞাত) ব্যাক্তি জানান, পারুল এখানে নাই, ফোন চার্জে রেখে চলে গেছেন।