লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বুুড়িরহাট লোহাকুচি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফএর) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় ৪দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। এ ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ওই এলাকার গ্রামবাসী ও পরিবারের স্বজনরা।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার ময়না চওড়া বাজারে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে থাকা স্থানীয়রা বিক্ষোভ করে লাশ ফেরতের দাবি জানায়। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত ইদ্রিস আলীর ভাই একরামুল হক, গোড়ল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক রাজাসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সীমান্তে যাওয়ার কারণে ভারতীয় বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার পর তার লাশ ভারতে নিয়ে যায়। চার দিন হয়ে গেলেও তারা লাশ ফেরত দিচ্ছে না। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড কোনো যোগাযোগ করছে না। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির সাথে কথা বলতে গেলেও তারা সাড়া দিচ্ছে না। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধনে রাস্তায় নেমেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করে মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, এর আগেও পাটগ্রামের চার বাংলাদেশির লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে পরিবারের লোকজন কোথায় যাবে।

ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে তারা ধরে নিয়ে যাক কিন্তু গুলি করার অধিকার রাখে না। এ ঘটনায় নিহত মো. ইদ্রিস আলীর ছোট ভাই একরামুল বলেন, জন্মসূত্রে আমরা বাংলাদেশি। আমাদের ভোটার আইডি কার্ড আছে। অথচ বিজিবি বলছে নিহতরা বাংলাদেশের না। তাহলে কোন দেশের নাগরিক-“মায়ানমারের” আমার ভাইকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করল।

বিজিবি দেখতেছে লাশ নিয়ে যাচ্ছে, জনগণ দেখতেছে অথচ তারা অন্য কথা বলছে। একই দিনে লালমনিরহাটে গুলি করে হত্যা করলেও এখনো কেনো বিজিবি লাশ ফেরত নিচ্ছে না? আমাদের আকুল আবেদন আমার ভাইয়ের লাশটা যেন ফেরত দেয়। তার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া একটি মেয়ে, একটি ছেলে ও ৩ বছরের বাচ্চা আছে। তারা তার বাবার লাশটি ফেরত চায়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোরে বুড়িরহাট-লোহাকুচি সীমান্তের ৯১৭.৫ এস ভারতের ওপারে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত হয়।

এ ঘটনার আজ ৪ দিন পার হলেও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। নিহত ইদ্রিস আলী গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচি মালগাড়া ময়না চওড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিন ও আসাদুজ্জামান ভাষানীর বাড়ি মালগাড়া এলাকার বালাটারী গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *