কচাকাটা  অফিস :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের সাতানা গ্রামে সঙ্কোস নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন থেকে বালু তোলায় ভাঙ্গছে নদীর পারের আবাদী জমি। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নদী তীরে অবস্থিত জমির মালিকরা। এছাড়া নদীর তীরে জমা রাখা বালু ট্রাক্টর এবং ট্রলিতে বহন করায় ক্ষতি হচ্ছে কচাকাটা থেকে সাতানাগামী সড়কের। স্থানীয়দের অভিযোগ দিনের পর দিন নদী থেকে তোলা হলেও অজানা কারণে নিরব থাকে প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতানা গ্রামের ড্রেজার মেশিন মালিক আয়নাল মিয়া ও মোজাম্মেল হোসেন দীর্ঘদিন থেকে সাতানা বাগানেরতল নামক স্থানে সঙ্কোস নদীর দুটি স্থানে পাশাপাশি দুটি অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। এসব বালু সাতানা ঈদগাহ মাঠের পাশে জমা করে সারা বছর বিক্রি করে থাকেন তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী থেকে বালু তোলায় তীরবর্তী আবাদী জমি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ঈদগাহ মাঠের সাথে বালুর স্তুপ করে রাখে এবং ট্রাকটর যোগে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকে। এতে ঈদগাহ মাঠও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আবার প্রতিনিয়ত কয়েকটি ট্রাক্টর আসা যাওয়ায় স্থানীয় সড়কটিরও ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় খোরশেদ মিয়া জানান, ড্রেজারে বালু তোলার ফলে তার নদী তীরে থাকা ১৬শতক জমি ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হয়েছে। একই কথা জানান, মন্ডল মিয়া, ফরিদুল ইসলাম, আলম মিয়াসহ অনেকে। তারা জানান, নদী থেকে বালু তোলার ফলে তাদের আবাদী জমি ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।এসব অবৈধ ড্রেজার বন্ধে কেদার ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া আছে। এবিষয়ে ড্রেজার মালিক আয়নাল মিয়া ও মোজাম্মেল হোনের কোন প্রকার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাছুম জানান, অবৈধ্য বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসন সোচ্চার রয়েছে। ইতিপূর্বে আমরা বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সঙ্কোস নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা ছিলো না,আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। এ বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *