কবিতা-

“চিঠি”

কলমে- অবন্তী পিয়া

চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।

 

দরজায় কড়া নাড়ার টুং টাং শব্দ ,

দরজার খুলে দেখি পিয়ন দাঁড়িয়ে। অবাক হলাম!!

আজকাল তো কেউ কাউকে লিখেনা চিঠি।

হাত বাড়িয়ে নিলাম হলুদ খাম।

নাম ঠিকানা সবই ঠিক আছে।

 

এক অজানা উত্তেজনার কাঁপছে বুক।

এই অবেলায় চিঠি লিখে কে করলো স্মরণ?

চিঠি নয়,খামের এক কোনে-

ছোট্ট একটা চিরকুট, “কেমন আছো তুমি?”

তোমায় কাঁদিয়ে ভালো নেই আমি।

ওপারের ডাক এসেছে- যেতে হবে খুব শীঘ্রই।

তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার মুখ নেই আমার।

তোমায় বলার অনেক কথা ছিল-

আর কখনোই হবে না বলা।

এজীবনে আর হবেনা দেখা।

যদি মন কাঁদে একবার এসে দেখে যেও।

তোমার মায়াবী মুখখানি- আমায় বড় বেশি কাঁদায়।

তোমার বিদায়ের ক্ষণে-

ৎঅশ্রু ভেজা চোখ আমায় আজও পোড়ায়।

চমকে উঠি নিজের মুখ স্পর্শ করে-

বুঝিনি কখন যে বুক ভেসে গেছে আঁখি জলে।

ফিরে যাই অতীতে-

মুহূর্তেই আবার ফিরে আসি বর্তমানে,

কি হবে অতীত সামনে এনে?

অতীতের স্মৃতিগুলো থাকনা বুকের খাঁচায় পরম যতনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *