-নাজমুল হুদা পারভেজ

ভালোবাসার বাতাবরণে হৃদয় গহিনে
ছেয়ে গিয়েছিল মন ও প্রাণ,
যৌবনের উষালগ্নে যেমনটা হয়-
ঠিক তেমনি, প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ ছিলাম
প্রিয়ার জন্য উৎসর্গ করে দেব জান ।

কে যেন চুপি চুপি এসে বলেছিল
এখন যৌবন তোমার, শ্রেষ্ঠ সময় বয়ে যায়,
মনে তুফান উঠেছিল,উঠেছিল ঝড়-
সারাক্ষণ থাকি যেন করও অপেক্ষায়।
নিদ্রা দেবীর কোলে মাথা রেখে স্বপ্ন দেখি
কে যেন নিদ্রার ঘোরে বলছে আমায়
তোমার প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে
প্রেয়সী আসছে, ভালোবাসা বিলাতে তোমায়।

অবশেষে দেবী আসল, শঙ্খ বাজলো মন্দিরে
হৃদয় কাননের অপ্রস্ফুটিত কলি, ফুটল এক এক করে,
তপ্ত হৃদয় শীতল হল-
হৃদয় জমিনে তখন লাল, নীল নানা রং এর স্বপ্ন,
আমার প্রীতি অর্ঘ্যে দেবী তৃপ্ত হয়ে বলল-
থাকব তোমার পাশে সারা জীবন ধরে।

অকৃত্রিম প্রীতি অর্ঘ্য ঢেলে দিলাম দেবীর চরনে
ওর চোখে চোখ রেখে দেখলাম-সামুদ্রিক পৃথিবী,
আমার বেকারত্ব আর দারিদ্রতায় দেবী অতৃপ্ত হল.
মারুতি গাড়িতে চড়তে চেয়েছিল,পারিনি চড়াতে
বুঝলাম তখন, যখন-
দেবী ভুলে গেল আমায়, ভুলে গেল সবই।

সত্যি সত্যি একদিন, আমার হৃদয় মন্দির থেকে বেড়িয়ে
হৃদয় কাননের ফুলগুলি পদদলিত করে,অন্যের হাত ধরে,
একটি লাল মারুতি গাড়িতে গিয়ে উঠল-
ফেলে রেখে গেল শূন্য মন্দিরে আমাকে একা করে।

আশা প্রত্যাশা নিয়েই স্বপ্ন দেখে মানুষ
ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা, তারপর-
পাওয়া- না পাওয়ার হিসেবে স্বপ্ন হয় ফানুস।
তারপরও থামে না জীবন,আমারও থামেনি
ছুটছে বয়ে চলা নদীর মতই নিরন্তর——-
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে বেঁচে থাকা একজন মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *