mail.google

শফিউল আলম শফি ঃ কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নি¤œাঞ্চলের অনেক বাড়ী-ঘর থেকে এখনও পানি নামেনি। অন্যদিকে পানি নেমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়ীতে ফিরতে পারছেন না অনেক পরিবার। অনেক পরিবার এখনও বাঁধ ও পাকা সড়কে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া চর্ম রোগসহ পানি বাহিত নানা রোগ। বন্যা দুর্গতদের জন্য জেলায় ৮৬টি মেডিকেলটিম কাজ করলেও দুর্গম এলাকার মানুষ দেখা পাচ্ছেন না তাদের।
বন্যা কবলিত এলাকা গুলোতে কোন কাজ না থাকায় গত এক মাস ধরে কৃষি কাজে নিয়োজিত দিন মজুর শ্রেনীর মানুষেরা কর্মহীন জীবন যাপন করছে। এতে করে খাদ্য সংকট আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত ত্রানের কথা বললেও ৬ লাখ অভাবী বানভাসীদের সকলের কাছে এখনও ত্রান পৌছায়নি। বেসরকারী ভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন ত্রান বিতরন অব্যাহত রাখলেও তাও পর্যাপ্ত না।
এদিকে বন্যা দুর্গতের সহায়তা করতে সৈয়দপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিনের নিকট ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেন সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহীন আহমেদসহ পৌর কাউন্সিলররা। বুধবার দুপুরে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চেক হস্তান্তর করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আকতার হোসেন আজাদসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বেসরকারী ভাবে ত্রান বিতরন করেছেন এসিআই মটরস। বুধবার কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিত নাগেশ্বরীর হাসনাবাদ ও উলিপুরের বজরা ইউনিয়নে ২৬০টি পরিবারে তারা ত্রান বিতরণ করে। প্রতিটি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, বিস্কিট ২ প্যাকেট, ১ কেজি লবন, খাওয়ার স্যালাইন, দিয়াশলাই ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়।
বন্যায় ঘর-বাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া পরিবার গুলোকে ত্রিপলসহ ত্রান সহায়তা প্রদান করেছে বেসরকারী সাহায্য সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *