হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে পাল্টে যাবে এই এলাকার জীবনযাত্রা। এতে শুধু বাংলাদেশ নয় উপকৃত হবে ভুটানও। রবিবার (১০মার্চ) কুড়িগ্রামে দু’দিনের সফরে এসে এসব কথা বলেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত এইচই মি. রিনচেন কুয়েন্টসিল।
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ধরলা নদীর পূর্ব পাড়ে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন,বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিজ ভুটানের ডিজি চ্যামিটেসরিন, চিপ ট্রেড অফিসার কিনলে ইয়াংজন, ভুটানের ঢাকা এ্যম্বাসির কাউন্সিলর জিকরেল টাসরিন, বেজা’র মহাব্যবস্থাপক (অর্থ বাজেট) শেখ মোঃ যোবায়েদ হোসেন, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, ভোগডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে ভুটানের রাষ্ট্রদ্রুত সাংবাদিকদের জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে এ জায়গাটি প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে এখানকার মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভুটানও উপকৃত হবে। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, আমরা ১৩৩ দশমিক ৯২ একর জমি বেজা’র কাছে হস্তান্তর করেছি। আরো ৮৬ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আছে। জেলায় সোনাহাট স্থলবন্দর, রৌমারী শুল্ক স্থলবন্দর, চিলমারী নৌবন্দর ও পাওয়ার স্টেশন কাছে থাকায় এটি মোটামুটি উপযুক্ত স্থান। সরকার আশা করছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে শিক্ষা সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। আমরা এটির বাস্তবায়নে চেষ্টা করছি।
উল্লেখ যে, কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের মাধবরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাস জমি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে এই খাস জমির অবস্থান। প্রয়োজনে ওই স্থানে জমি অধিগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। আর এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ভুটানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। এছাড়া জেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।এতে জেলার মানুষ অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।