কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামের রাজিবপুরের বদরপুর গ্রামে প্রায় ২ বছর যাবৎ জমিজমার বিরোধ চলছিল ফরিদ উদ্দিন এবং আয়নাল হক দুই পরিবারের মধ্যে।  দুই পক্ষের মধ্যে জমি দখল, মার-পিট, হামলা-মামলা চলমান থাকায় নিকট আত্মীয়দেরও জড়ানো হয়েছে মামলায়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ফরিদ উদ্দিন।

ফরিদ উদ্দিন নামের ওই ব্যক্তির অভিযোগে জানা গেছে, গত দুই মাস আগে আয়নাল হক তার দলবল নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার আবাদী জমি জোড় করে দখলের জন্য একটি টিনের ছাইলা ঘর তৈরি করে।  এতে ফরিদ উদ্দিন বাধা প্রদান করলে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে।  পরে ফরিদ উদ্দিন রাজিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ঘরটি ভেঙ্গে দেয় রাজিবপুর থানা পুলিশ।  পুলিশ চলে আসলে আবরও ঘর তৈরি করে আয়নাল হকের দল।  গত ২২ ডিসেম্বর আনুমানিক দুপুর ২টায় আয়নাল হকের চাচা গফুর বাদশার একটি অসুস্থ্য গরু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।  রাতের অন্ধকারে আয়নাল হক তার দলবল দিয়ে মরা গরুটিকে নিয়ে বিরোধকৃত জমির ওই ঘরটিতে রেখে রাত আনুমানিক ২টায় আগুন লাগিয়ে দেয়।  প্রতিপক্ষ ফরিদ উদ্দিনকে ফাঁসানোর জন্য ২৬ ডিসেম্বর আয়নাল হক বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে রাজিবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  যার মামলা নং-৫।

এবিষয়ে স্থানীয় পশু চিকিৎসক বাবুল জানান, “গরুটি খুবই অসুস্থ্য ছিল, অবস্থা ভাল ছিল না।  চিকিসাধীন অবস্থায় আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে গরুটি মারা গেছে।  তার পর কি হইছে আমি জানি না।”

বিষয়টি নিয়ে প্রতিপক্ষ দল আয়নাল হকের চাচা আবুশামার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “গরুটি ওই ঘরে রেখে আয়নাল হক তার বাবার অসুস্থ্যতার কারণে চলে আসে। রাতে ঘরটিতে আগুন লাগিয়ে গরু ও ঘর পোড়ানো হয়েছে।”

ভূক্তভোগি ফরিদ উদ্দিন জানান, “ওই ঘরে কোন মানুষজন থাকে না।  জমি দখল করার জন্য শুধু ঘর বানাইছে।  ওরাই ঘরের মধ্যে মরা গরু রাইখা পোড়া দিছে।  পোড়া দিয়া আমাগোরে ফাঁসানোর জন্য মামলা দিছে।  আমি এর সঠিক বিচার চাই।”

এবিষয়ে রাজিবপুর থানার ওসি নবীউল হাসান জানান, “তদন্ত চলছে, আরও তদন্ত করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *