কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় ঘর থেকে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যা সন্দেহে থানায় অভিযোগ করেছেন নিহতের বড় ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের চঁাদের হাট দোলার পাড় গ্রামে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,এক মাস আগে চাঁদের হাট দোলার পাড় গ্রামের বাসিন্দা আবদার আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান হাবু মিয়া (৩০) তৃতীয় বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ফুটানী বাজার এলাকার আব্দুস ছালামের মেয়ে তারামনি (১৯) কে।

বিয়ের পর থেকে তারামনি তার স্বামীর বাড়ীতে থাকত। সোমবার ভোরে সাহরী খেয়ে তারা একত্রে তাদের ঘরে ঘুমাতে যায়। পরিবারের অন্যান্যরাও যে যার মত ঘুমিয়ে পড়েন। অনেক বেলা অবদি তাদের ঘরের দরজা না খোলায় বাড়ীর লোকজন ডাকাডাকি করতে থাকেন। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ফেলতে উদ্যত হলে তারা লক্ষ্য করেন দরজা বাইরে থেকে সিটকিনি দিয়ে আটকানো।

পরে তারা দরজা খুলে দেখেন বিছানায় পড়ে আছে তারামনির নিথর নি:স্তব্দ দেহ। নাকে আটকে আছে ফেনা। পরে স্থানীয়রা থানায় এবং মেয়ের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়।
ঘটনার দিন বিকেলে হত্যাকান্ড সন্দেহে নিহত তারামনির বড় ভাই আজাদুল ইসলাম বাদী হয়ে নাগেশ্বরী থানায় স্বামী হাবু মিয়ার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি জানান, আমাদের সন্দেহ হাবু মিয়া ভোর থেকে সুর্যোদয় এর মধ্যে যে কোন সময় তারামনিকে কীটনাশক পান করিয়ে অথবা শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের দরজায় সিটকিনি দিয়ে পালিয়ে গেছে। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে তো তার পালিয়ে যাওয়ার কথা নয়। এ কারনে আমি থানায় একটি অভিযোগ করেছি। যদি আমার বোনকে মেরে ফেলা হয় তাহলে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন কবীর জানান, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে চেষ্টা চলছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত, এটি হত্যাকান্ড না স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *