কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার আগেই সোমবার রাতে সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেন শফিকের অভ্যর্থনায় অপেক্ষমাণ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে একদল উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের হামলায়
জেলা আওয়ামীলিগের যুগ্ন সম্পাদক, মহিলা নেত্রী সহ প্রায় ২০ নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় সার্কিট হাউসের দরজা জানালাও ভাংচুর করা হয়। কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতই ছাত্রলীগ এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায়।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বধিত সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে ঘটনার সাথে জড়িত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলা আওয়ামীলিগের সর্বোচ্চ ফোরাম ঐক্যমত হয়ে রেজুলেশন করে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের মাধ্যমে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরবর পাঠানো হয়েছে।

একইসাথে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দলের নাম
ভাঙ্গিয়ে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বেরিগেড সৃষ্টি করেছে তাদেরকেও সতর্ক করা হয়েছে।

রেজুলেশনে, আহত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
আ,ন,ম ওবায়দুর রহমান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাহানাজ বেগম নাজু,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আব্দুল ওয়াহেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মাহফুজুর রহমানসহ আহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।

এছাড়াও হামলাকারীদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি ভংগের অপরাধে যুক্ত থাকার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্হা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটি ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের কেউ হতে পারে না। সোমবার যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ ঘটনার সাথে জড়িত জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভার কোন সম্পর্ক নেই। এটা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোনো ঘটনাও নয়। কারো ছায়াতলে থেকে কেউ দলের ভেতর বিভেদ ও বিভাজন করার চেষ্টা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *