মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ
দিনাজপুর চিরিরবন্দরে ফতেজংপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়ার খতিব হত্যার প্রধান আসামীর হায়দার আলী মাষ্টারের স্ত্রী মোছা: সীমা আক্তার (৩০) কে আজ শুক্রবার বিকেলে আটক করেছে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুলাই শনিবার দিবাগত রাতে পূর্বশত্রুতা ও লক্ষাধিক টাকার আত্মসাতের লোভে একই ইউনিয়নের উত্তর পলাশবাড়ী হাকিম নেম্বার পাড়ার মো: আশরাফ আলীর পূত্র ও পলাশবাড়ি জব্বারিয়া সিনিয়র মাদরাসার শিক্ষক হায়দার আলী ও তার সঙ্গীসহ ইসবপুর ইউনিয়নের কামারের ডাঙ্গা নামক স্থানে পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে গুরুত্বর আহত করে খতিব উদ্দিনের মোটর সাইকেল নিয়ে পালানোর সময় কৃষ্টহরি বাজারের পার্শ্বে মোটর সাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য আহত খতিবউদ্দিন মৃত্যুর আগে তাকে কারা মেরেছে এবং কিভাবে মেরেছে ও কেন মেরেছে সবকিছু উদ্ধারকারীকে জানায়। উদ্ধারকারী তার মোবাইল ফোনে তার বক্তব্য রেকর্ড করে রাখে। এটি ফাঁস হয়ে বর্তমানে প্রায় লোকের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৫ জুলাই খতিব উদ্দিনের পূত্র আনিছুর রহমান হায়দার মাষ্টারকে প্রধান আসামী করে চিরিরবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৪৯ তাং-২৫/০৭/১৭।
এদিকে আজ শুক্রবার দুপুরে হায়দার আলীর স্ত্রী সীমা তার সন্তানকে নিয়ে খতিবের বাড়ীর আশে পাশে ঘুড়াঘুড়ি করে বাচ্চাকে পানি খাওয়ার জন্য খতিবের বাড়িতে প্রবেশ করে সে নিজেক কখনো পুলিশের স্ত্রী, ওসির মে বলে দাবী করে। এতে করে তার আচার আচরনের গতিবিধি সন্ধেয়জনক হলে মৃত খতিবের স্ত্রী আনজু আরা তার নাম ঠিকানা জানতে চাইলে প্রথমে তার বাড়ি পলাশবাড়ী বলেই পালানোর চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন তকে আটক করলে সে হায়দারের স্ত্রী বলে স্বীকার করে। অবশেষে খতিবের ছেলে আনিছুর রহমান থানায় খবর দিলে বিকেলে পুলিশ এসে আসামী হায়দার আলীর স্ত্রী সীমাকে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর অফিসার ইনচার্জ মো: হারেসুল ইসলাম সাথে কথা হলে, তিনি আটকের বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *