মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুর লিচুর জেলা হিসেবে সারাদেশব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। এই জেলার ১৩টি উপজেলাতেই লিচু চাষ বেড়েই চলছে। এদিকে এবার মধুমাসের ফল লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে দিনাজপুরের বৃহত্তর উপজেলা চিরিরবন্দরে। প্রতিটি লিচু গাছে শোভা পাচ্ছে থোকায় থোকায় মুকুল। প্রতি বছরই চিরিবন্দরে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে লিচু চাষের জমির পরিমাণ। এখন সারা দেশে কম বেশি লিচু চাষ হলেও দিনাজপুরের লিচুর কদর আলাদা। রসালো ফল লিচু অনেকের কাছে ‘রসগোল্লাা’ হিসেবে পরিচিত।
চিরিরবন্দর লিচু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর দিনাজপুরের ১৩ উপজেলার লিচু দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। লিচুর ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই উপজেলাতে লিচু চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিরিরবন্দরের লিচুর মধ্যে চায়না থ্রি, বেদেনা, বোম্বাই ও মাদ্রাজি, কাঁঠালী উল্লেখয্যেগ্য। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারও এসব প্রজাতির লিচু চিরিরবন্দরে রেকর্ড পরিমাণ ফলন হবে বলে তারা আশা করছেন।
উপজেলা কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় ৫ শত হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত উপজেলার লিচু বাগানে ও বসত বাড়ীতে অর্জিত লিচু গাছের মুকুল থেকে লিচুর গুটি ভাল রয়েছে। ভালো ফলনের আশায় লিচু চাষিরা পরিচর্যা পুরো দমে চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাড়ির বসতভিটায় বা আঙ্গিনার লিচু গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুলের সঙ্গে ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার ঝিঁ ঝিঁ শব্দে এলাকা মুখরিত হতে শুরু করেছে। লিচু বাগানগুলোতে ফুল আসা থেকে লিচু নামানো পর্যন্ত ৩-৪ মাস লিচু বাগানের সঙ্গে সমপৃক্তদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফুল আসার ১৫ দিন আগে এবং ফুল আসার ১৫ দিন পরে সেচ দিতে হয়। সেই অনুযায়ী গাছে মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই মুকুলকে টিকিয়ে রাখতে লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা স্প্রে করে চলছেন। এছাড়াও মুকুল যাতে ঝড়ে না পড়ে সেজন্য গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি ও সার দেয়া হচ্ছে।
নশরতপুর ইউনিয়নের লিচু চাষি ভবেশ চন্দ্র জানান, লিচুর ফুল আসা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই পরিচর্যা শুরু করে দিতে হয়। নিয়মিত স্প্রে ও সেচ দেয়া শুরু হয়েছে। লিচু গাছগুলোতে ফুল আসতেই রাজশাহী, রংপুর, চট্রগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার লিচু ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছেন। তারা আগাম লিচু বাগান ক্রয় করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, লিচু চাষে ব্যঘাত না ঘটার জন্য কৃষি কর্মকর্তারা চাষীদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে। কোন সময়ে কোন কীটনাশক, বালাইনাশক ব্যবহার করা উচিৎ তা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চিরিরবন্দরে রসালো লিচুর বাগান এখন মুকুলে ভরপুর
মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুর লিচুর জেলা হিসেবে সারাদেশব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। এই জেলার ১৩টি উপজেলাতেই লিচু চাষ বেড়েই চলছে। এদিকে এবার মধুমাসের ফল লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে দিনাজপুরের বৃহত্তর উপজেলা চিরিরবন্দরে। প্রতিটি লিচু গাছে শোভা পাচ্ছে থোকায় থোকায় মুকুল। প্রতি বছরই চিরিবন্দরে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে লিচু চাষের জমির পরিমাণ। এখন সারা দেশে কম বেশি লিচু চাষ হলেও দিনাজপুরের লিচুর কদর আলাদা। রসালো ফল লিচু অনেকের কাছে ‘রসগোল্লাা’ হিসেবে পরিচিত।
চিরিরবন্দর লিচু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর দিনাজপুরের ১৩ উপজেলার লিচু দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। লিচুর ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই উপজেলাতে লিচু চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিরিরবন্দরের লিচুর মধ্যে চায়না থ্রি, বেদেনা, বোম্বাই ও মাদ্রাজি, কাঁঠালী উল্লেখয্যেগ্য। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারও এসব প্রজাতির লিচু চিরিরবন্দরে রেকর্ড পরিমাণ ফলন হবে বলে তারা আশা করছেন।
উপজেলা কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় ৫ শত হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত উপজেলার লিচু বাগানে ও বসত বাড়ীতে অর্জিত লিচু গাছের মুকুল থেকে লিচুর গুটি ভাল রয়েছে। ভালো ফলনের আশায় লিচু চাষিরা পরিচর্যা পুরো দমে চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাড়ির বসতভিটায় বা আঙ্গিনার লিচু গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুলের সঙ্গে ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার ঝিঁ ঝিঁ শব্দে এলাকা মুখরিত হতে শুরু করেছে। লিচু বাগানগুলোতে ফুল আসা থেকে লিচু নামানো পর্যন্ত ৩-৪ মাস লিচু বাগানের সঙ্গে সমপৃক্তদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফুল আসার ১৫ দিন আগে এবং ফুল আসার ১৫ দিন পরে সেচ দিতে হয়। সেই অনুযায়ী গাছে মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই মুকুলকে টিকিয়ে রাখতে লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা স্প্রে করে চলছেন। এছাড়াও মুকুল যাতে ঝড়ে না পড়ে সেজন্য গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি ও সার দেয়া হচ্ছে।
নশরতপুর ইউনিয়নের লিচু চাষি ভবেশ চন্দ্র জানান, লিচুর ফুল আসা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই পরিচর্যা শুরু করে দিতে হয়। নিয়মিত স্প্রে ও সেচ দেয়া শুরু হয়েছে। লিচু গাছগুলোতে ফুল আসতেই রাজশাহী, রংপুর, চট্রগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার লিচু ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছেন। তারা আগাম লিচু বাগান ক্রয় করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, লিচু চাষে ব্যঘাত না ঘটার জন্য কৃষি কর্মকর্তারা চাষীদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে। কোন সময়ে কোন কীটনাশক, বালাইনাশক ব্যবহার করা উচিৎ তা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।