ঢাকা সংবাদদাতাঃ
দেশে জঙ্গি তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, গত এক বছরে বহু ঘটনা ঘটেছে, আত্মঘাতী বোমা হামলাও হয়েছে। অথচ সরকার এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেছ না। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য না দিলে জনগণের মধ্যে সন্দেহ থেকেই যাবে। সরকার জঙ্গিবাদ নির্মূলে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতেও ব্যর্থ হয়েছে। সরকার জঙ্গিবাদকে জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়।
শনিবার নয়াপল্টনে যাদু মিয়া মিলনায়তনে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় এক বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ কথা বলেন।
নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক আহসান হাবিব খাজা, মো. কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সদস্য মো. শামিম ভুইয়া, যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, গণতন্ত্রহীন পরিবেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারই জঙ্গি কমর্কাণ্ডে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এ অবস্থায় জঙ্গিবাদ শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নির্মূল করা যাবে না। প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের।
তিনি বলেন, হলি আর্টিসানে হামলা এক বছরেও এর প্রকৃত তথ্য জাতি জানতে না পারা দু:খজনক।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দেশে আইএস আছে কি, নাই এই বিতর্কে না গিয়ে চলমান জঙ্গিবাদের উৎস ও ইন্ধন দাতাদের খুঁজে বের করুন।
জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়ে গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আরো বলেন, অবিলম্বে রাজনৈতিক বিরোধ, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, পারস্পরিক প্রতিহিংসা ভুলে রাজনৈতিক দল ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সরকারকে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা উচিত।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় চাই জাতীয় ঐকমত্য। কারও একার পক্ষে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব নয়। শুধু র্যাব-পুলিশ নয় বা সরকার নয়, সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেও ঐকমত্য জরুরি। এ জন্য প্রয়োজন দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন। গণতন্ত্র ফিরলেই জঙ্গিবাদ কমে যাবে।
সভায় হলি আর্টিজান নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।