বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় একটি র্যালী বের হয়। উপজেলা প্রশাসন ও প্রেসক্লাবের আয়োজনে র্যালীটি পাবলিক ক্লাব চত্তর থেকে বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ডের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন করে। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শামসুল হক চৌধুরীর নামে সড়কের নামকরণ এবং ভুরুঙ্গামারী ডিগ্রি কলেজের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্থান ও গণকবরের স্মৃতিফলক উদ্বোধন করা হয়। পরে পাবলিক ক্লাব চত্তরের শহীদ মিনারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাগফুরুর হাসান আব্বাসীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরন্নবী চৌধুরী খোকন, বিশিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ট্রেজারার রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রিয় কমান্ডের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি, কুড়িগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান মন্ডল, সাবেক উপসচিব মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল জলিল, ভুরুঙ্গামারী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কমান্ডার মহিউদ্দিন ও প্রেসক্লাব সভাপতি আলোয়ারুল হক ও সম্পাদক এমদাদুল হক মন্টু প্রমূখ। পরে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ৬ গুনিজনকে সম্মানা পদক দেয়া হয়। শেষে দেশত্ববোধক এবং লোকসংগীতের গানের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭১’ এর ১৪ নভেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর প্রবল আক্রমনে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাকসেনারা। দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে ভুরুঙ্গামারীবাসী। ১৪ নভেম্বর সূর্য ওঠার সাথে সাথে বিজয়ের আনন্দে রাস্তায় নেমে পড়ে মুক্তিকামী জনতা।