জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বেীতে আয়করকে কেন্দ্র করে শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় গতকাল জনতা ব্যাংক নাগেশ্বরী শাখায় এ ঘটনা ঘটে। ভিতরবন্দ ফাযিল মাদরাসার শারীরিক শিক্ষক নুর জামান অভিযোগে বলেন গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের আয়করের ফাইল খোলার জন্য নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র রুহুল আমিন (বর্তমান ঠিকানা থানা পাড়া) আমার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ চেয়ে নেয়। আমার প্রতিষ্ঠানের ৬জন শিক্ষকের আয়কর ফাইল খোলার জন্য ৪হাজার৩শত টাকা হিসাবে মোট ২৫হাজার ৮শত টাকা নেয়।
পরবর্তিতে আমাদের নামে টাকা জমা না করেই ভুঁয়া ট্রেজারী চালানের কপি প্রদান করে। আমি সহ আমার প্রতিষ্ঠানের সকল ভাউচার যাচাই করার জন্য কুড়িগ্রাম অায়কর অফিসে এবং সোনালী ব্যাংক লিঃ কুড়িগ্রাম শাখায় যোগাযোগ করলে অনলাইনে দেখা যায় আমার নামে ভাউচারে নম্বর ও তারিখে পুলিশ সুপারের নামে টাকা জমা করা হয়েছে। আমার নামে কোন টাকা জমা করা হয় নাই।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে প্রতারক রুহুলের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেও কোন সুরাহা হয় নাই। গতকাল নাগেশ্বরী জনতা ব্যাংকে রুহুলের সাথে সাক্ষাত হলে তাকে আয়কর অফিসে জমা না দেয়া টাকা ফেরত চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে অামার গায়ে হাত তোলে। পরে উপস্থিত লোকজন আমাকে তার হাত থেকে উদ্ধার করে।
এছারাও সে আমাকে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোকজন নিয়ে ব্যাংকে আসে, আমাকে সেখানে না পেয়ে আমার বাসায় মাস্তান পাঠিয়ে দেয়।
এ ব্যপারে ভিতরবন্দ ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ জায়েদুর রহমান জানান রুহুল আমার প্রতিষ্ঠানে একাধিকবার আসে আয়করের কাজ করে দেবে বলে টাকা ও কাগজপত্র জমা নেয়। কিন্তু আমাদের নামে সরকারী কোষাগারে টাকা জমা না দিয়ে অমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। এ বিষয়ে রুহুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি গত বছর কাজ করে দিয়েছি, এ বিষয়ে আমার সাথে এ বছর কোন কথা বলা যাবে না।
ঘটনার বিষয়ে নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ রওশন কবির বলেন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।