mail.google
নয়ন আহমেদ, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
নাগেশ্বরীতে জমি-জমাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩।
জানাগেছে, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারপাড়া গ্রামের ছেলে ময়েজ উদ্দিনের সহিত হাসনাবাদ ইউনিয়নের শ্রীপুর সঠিবাড়ী গ্রামের আ: করিম প্রধান এর দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে মামলা চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ জুন ২০১৬খ্রি: তারিখে ময়েজ উদ্দিনের ভাতিজা শফিকুল, মাইদুল ও রবিউল এবং ভাগিনা আব্দুল আলিম জমিতে আইলে আগাছা ছাটাই করতে যায়। জমিতে যাওয়া মাত্রই সেখানে ওৎ পেতে থাকা আব্দুল করিম প্রধান তার ছেলে, তার ভাই ও ভাতিজাদের সাথে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ শফিকুল, মাইদুল, রবিউল ও আব্দুল আলিমের উপর হামলা চালায়। হামলায় শফিকুল, মাইদুল, ও আব্দুল আলিম আহত হলেও বেদরক মারপিটের শিকার হয় রবিউল। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শফিকুল, মাইদুল ও আব্দুল আলিম সুস্থ্যতা বোধ করলেও রবিউলের অবস্থার অবনতি দেখে তাকে রংপুর প্রাইম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ২৩ জুন রবিউল মৃত্যুবরণ করে। পরে রংপর কোতয়ালী থানার সহযোগিতায় রবিউলের ময়না তদন্ত শেষে ২৪ জুন রবিউলের লাশ বাড়ীতে দাফন করা হয়। পরে রবিউলের ছোট ভাই শফিকুল বাদী হয়ে আব্দুল করিম প্রধান (৫৮), আব্দুস সোবাহান (৫৭), আব্দুল কাদের (৫২), নুর মোহাম্মদ (৫০) ও আব্দুর রহিম ওরফে দুখু (৪৭)সহ ১৫জনকে আসামী করে নাগেশ্বরী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ১৭।
আহত শফিকুল বলেন, আমার ভাইকে তারা নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার ভাই একটু পানি খেতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা আমার ভাইকে এক ফোটা পানি পর্যন্ত খেতে দেয়নি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ময়েজ উদ্দিন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ওরা সকলে মিলে আমার এতিম ভাতিজাকে পিটিয়ে খুন করেছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাসুমুর রহমান জানান, থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আসামীরা সকলেই গা ঢাকা দিয়েছে। আসামী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ আফজালুর রহমান জানান, আসামীরা যতই ধ্রুতবাজ হোক, তারা আইনের চোখকে ফাকি দিয়ে চলাফেরা করতে পারবেনা। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সব সময় তৎপর থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *