বিপুল কুমার রায়,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার ডিউটি অফিসার এর সরকারি মোবাইল ফোনে জনৈক প্রতারক নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে থানার সার্বিক অবস্থা জানতে চায় এবং থানায় কতটি অভিযোগ সকাল থেকে দায়ের হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য জানতে চায়। একপর্যায়ে অভিযোগকারীদের নাম এবং মোবাইল নাম্বার জানতে চাইলে দ্বায়িত্বরত এএসআই সরল বিশ্বাসে সকল অভিযোগকারীর নাম এবং মোবাইল নাম্বার উক্ত পুলিশ পরিচয়ধারী ব্যক্তি কে দেন।

একই দিন সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬:০০ ঘটিকায় একজন অভিযোগকারী নাগেশ্বরী থানার মুন্সি এর নিকট এসে বলে ওসি স্যার ফোন করেছিল খরচের টাকার জন্য। একবার ২০০০/ টাকা বিকাশ করলাম আবার টাকা চাচ্ছে। বিষয়টি মুন্সির সন্দেহ হওয়ায় মুন্সি নাম্বার সংগ্রহপূর্বক যে নাম্বার থেকে কল করা হয়েছিল সে নম্বরে কল দিতে থাকে। অপর প্রান্ত থেকে বারবার কল কেটে দেয়। একপর্যায়ে কল ব্যাক করে অফিসার ইনচার্জ এর ন্যায় কন্ঠে মুন্সিকে বলে “এই মুন্সি বারবার কেটে দিচ্ছি তবু কল দিচ্ছ কেন, রেখে দাও ” কন্ঠ শুনে মুন্সি ও বিপাকে পড়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অফিসার ইনচার্জ থানায় আসলে মুন্সি জিজ্ঞেস করে স্যার আপনি আমার সঙ্গে কথা বললেন না? তখন অফিসার ইনচার্জ না বলেন এবং ঘটনা জানতে চান। অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি একটি অভিনব প্রতারণার ঘটনা বুঝতে পেরে ০৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে থানায় সকল অভিযোগকারীর মোবাইল নাম্বারে কল দিতে বলেন। তিনজন অভিযোগকারী একই ঘটনার বর্ণনা দেন এবং একই ভাবে কল এবং একই বিকাশে টাকা দিয়েছেন মর্মে জানান। মোবাইল নাম্বার এবং বিকাশ নাম্বার এর সূত্র ধরে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে মূল আসামী নাগেশ্বরী বামনডাঙ্গা এলাকার মো: আতানুর রহমান কে গ্রেফতার করে।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, প্রতারক চক্রটি অভিনব কৌশল অবলম্বন করে কয়েকজনের নিকট থেকে বিকাশ এর মাধ্যমে টাকা নিয়েছিলো। পরবর্তীতে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ প্রতারক চক্রটির মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এর সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা এই বিষয়ে তদন্ত ও অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি আরও জানান
মামলা, জিডি বা অভিযোগের ক্ষেত্রে পুলিশকে কোন প্রকার টাকা দিতে হয় না। কোন প্রতারক চক্র টাকা দাবি করলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জানানোর অনুরোধ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *