মোল্লা হারুন উর রশীদ ;- কুড়িগ্রাম
ছেলেটি কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা মোড়ের “হোটেল জান্নাত” এর পরিছন্ন কাজ করছে । আশিকুর রহমান (১৬) পিতা মো: আজগার আলী মা নারগিস বেগম অন্য খানে বিয়ে হয়েছে। উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই গ্রামে তার বাড়ী। সে গোড়াই রঘুরায় উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির ছাত্র রোল ( ৪১) ( ক) শাখা।
এই শিশুটি যেখানে খেলাধুলা করার কথা সেখানে এখন সে হোটেলে কাজ করছে। তার মা ছোট বেলায় তার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পড়ে তাকে ছেড়ে, ছোট বেলায় অন্যত্রয় তার মা এর বিবাহ হয়। এখন বাবা পোষাক কারখানায় কাজ করে ঢাকায়।

ছেলেটি বড় অসহায় সে দাদীর কাছে থাকে। হোটেল জন্নাত কুড়িগ্রাম শাপলা মোড় সংলগ্ন এলাকায় ৩ শ টাকার মজুরীতে দিন মজুরের কাজ করে। আশিকুরের কোন ভাই বোন নাই। সে দিনে হোটেলের কাজ করে রাতে লেখাপড়া করে। তার বড় আশা পড়াশোনা করে অনেক বড় হবে। কিভাবে তার এ সপ্ন পূরণ হবে। দাদী বৃদ্ধ, শিশু আশিকুর বৃদ্ধ দাদীকে হোটেল পরিছন্নতার কাজ করে দু’জনের পেট বাঁচায়।

তার পক্ষে কিভাবে লেখাপড়া করা সম্ভব।
সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে আসলে বাকি জীবনের চলার পথ টুকু পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব।
আশিক চায় স্কুলে পড়াশোনা করতে। এ জন্য সমাজের বিত্তবান দের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
শিশু আশিকুরের চোখে মায়া মায়া ভাব নিয়ে চেয়ে থাকে হোটেলের সকলের দিকে কি যেন বলতে চায় সে।তার ভিতরে মায়া কান্না অবিরাম ভাবে প্রবাহিত ।দেখলে মনে হয় তার আপনজন বলতে কেউই নেই। তার জীবন চলার সম্বন্ধে জানতে চাইলে সে ঝরঝর করে বলতে থাকে তার জীবনের ইতিহাস। তার আশা পুরণের পৃথিবীতে কেউ নেই।

ছেলেটিকে দেখে সুধিজনরা বলেন, দাম্পত্য কলহে যাদের সংসার ভেঙ্গে যায় তাহলে আগে তাদের সন্তানের কথা ভাবা উচিৎ। দেশে এ রকম অনেক সন্তান আছে তারা বড় অসহায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *